অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠি
অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠি প্রথম পরিচিতি পান নীরজ ঘেওয়ানের ‘মাসান’ সিনেমা দিয়ে। পরের এক দশকে তিনি অভিনয় করেছেন ‘মির্জাপুর’, ‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’, ‘মেড ইন হেভেন’, কালকূট’ নামের আলোচিত সিরিজে। এবার ভারতের সুন্দরবনের গল্প নিয়ে আসছেন শ্বেতা ত্রিপাঠি।
অভিনয় করলেও প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী। ‘মুঝে জান না কহো মেরি জান’ তৈরি করেছেন তিনি। শ্বেতার প্রযোজনা সংস্থা বান্দরফুল ফিল্মসের ব্যানারে এবার তৈরি হবে সুন্দরবনের গল্প নিয়েনতুন ছবি ‘নাভা’।

সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন আকাশ মাহিমি। ‘নাভা’র গল্প আবর্তিত হয়েছে সুন্দরবনের জলাভূমিকে কেন্দ্র করে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন তারা নামে এক নারী, যিনি বহু বছর পর ফিরছেন নিজের পূর্বপুরুষের বাড়িতে। ফেরার পরই তিনি জড়িয়ে পড়েন বহু প্রজন্মজুড়ে চলা এক রহস্যে; যেখানে আছে নদী দেবতার উপাখ্যান, গোপন পারিবারিক অতীত আর মিথ।
লোককথা ও হররের আবহে দর্শকদের রোমাঞ্চকর এক গল্প উপহার দিতে চান শ্বেতা। সিনেমাটির গল্প নিয়ে তিনি জানান, ‘আমি বৈচিত্র্যময় গল্প উপহার দিতে চাই। আগের ছবি ভালোবাসার গল্প বলেছিল, এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন আবেগের জগতে ঢুকতে চেয়েছি। লোককথায় বোনা হরর মানুষের মনে দাগ কাটতে পারে। সুন্দরবন এখানে শুধু পটভূমি নয়; মূল চরিত্র, যে রক্ষা করে আবার ভয়ও দেখায়।‘
শ্বেতা জানান, চিত্রনাট্য শুনেই ছবিটি প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ‘প্রযোজক হিসেবে এমন গল্প বেছে নিতে চাই, যা দর্শককে ঝাঁকুনি দেবে। শেষ হওয়ার পরও মনে গভীর ছাপ রেখে যাবে’।
প্রযোজনার গল্প নিয়ে শ্বেতা ত্রিপাঠি
আগে একটি ছবি প্রযোজনা করলেও ‘নাভা’ দিয়েই পুরোদস্তুর প্রযোজক হিসেবে যাত্রা শুরু করতে চলেছেন শ্বেতা। প্রযোজনা নিয়ে শ্বেতা জানান,‘প্রথম সিনেমাটি ছিল নিরীক্ষাধর্মী প্রকল্প, প্রযোজক হিসেবে আমার জন্য শিক্ষাসফরের মতো। এখন থেকে নিয়মিত প্রযোজনা করব,।
শ্বেতার লক্ষ্য এমন ভারতীয় গল্প তুলে ধরা, যা চরিত্রনির্ভর ও প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে মাটির গল্প বলে। তিনি বলেন, ‘এমন গল্পই বেছে নিতে চাই, যা আমার হৃদয় থেকে সরাসরি দর্শকের হৃদয়ে পৌঁছাবে। আলাদা সংস্কৃতি আর আলাদা দেশের মানুষের মনেও যেন ছুঁয়ে যেতে পারে আমার কাজ, সেটাই লক্ষ্য থাকবে।’ সুন্দরবনের যেই গল্প নিয়ে আসছেন শ্বেতা ত্রিপাঠি তা দর্শকদের মাঝে প্রাণ-প্রকৃতি ও গ্রামীণ বিশ্বাসের প্রতি ভালোবাসা বাড়াবে বলেই দর্শকদের বিশ্বাস।