ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’
দেশের আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড অবলম্বনে আসছে ওয়েব ফিল্ম। ওয়েব ফিল্মটির নাম ‘অমীমাংসিত’। পরিচালনা করেছেন নির্মাতা রায়হান রাফী। এই সিনেমায় দেখানো হবে এক সাংবাদিক দম্পতির আকস্মিক মৃত্যু এবং হত্যার রহস্য, যা আজও সমাধান হয়নি।

ফিল্মটির শুটিং দীর্ঘদিন আগে শেষ হলেও মুক্তি আটকে যায়। প্রথমে সিনেমাটির মুক্তি নির্ধারিত হয়েছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, কিন্তু সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে ৫ আগস্টের পর সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরে সেন্সর বোর্ডকে পুনরায় সাজানো হয়। নতুনভাবে গঠিত হয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড। সেই বোর্ড থেকেই অবশেষে সিনেমাটি মুক্তির ছাড়পত্র পায়। সব ঠিক থাকলে আগামী ৪ ডিসেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে এটি মুক্তি পাবে।

সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন। নির্মাতারা সরাসরি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে গল্পের ভিত্তি হিসেবে নিয়েছেন, তবে কতটা বাস্তব কতটা কল্পনা তা তারা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেননি।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নাকি শুধুই গল্প
সিনেমাটির টিজার প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা উঠে সিনেমাটি নিয়ে। তাতে হত্যাকাণ্ডের সময়কাল ও প্রাথমিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সংলাপের মাধ্যমে। ‘খুনগুলো হয়েছে আনুমানিক রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে’, ‘ধারণা করা হচ্ছে এটি কোনো চুরি-ডাকাতির ঘটনা নয়’, ‘সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন , সকলেই ক্রাইম জোনের আলামত নষ্ট করেছে’, ‘ওরা নিজেই নিজেদের খুন করেছে’, ‘এটা নিশ্চিত পরকীয়া কেস’ এমন সংলাপে দর্শকদের মধ্যে সিনেমার গল্পের আভাস দেয়া হয়েছে। যা দর্শকদের মাঝে কৌতূহল জাগিয়েছে এবং রহস্যকে আরও গভীর করে তুলেছে।

এই টিজারের এমন প্রকাশে তৎকালীন সেন্সর বোর্ড আপত্তি জানায়। জানিয়ে দেওয়া হয়, ওটিটি কনটেন্ট হলেও এটি মুক্তির জন্য সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র নিতে হবে। দুই দফা দেখার পর সিনেমাটির মুক্তি বাতিল করে দেয় সেন্সর বোর্ড।
পরিচালক রাফী জানিয়েছেন, ছবির শুটিং চলাকালীনও কিছু জটিলতা ছিল। সেসব কাটিয়ে উঠেই সিনেমা নির্মাণ শেষ করেছিলেন তিনি।
সিনেমাটির মুক্তি এখন দর্শকদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাবে। অন্যদিকে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত সব প্রশ্নের আংশিক উত্তরও দিতে সক্ষম হবে। নির্মাতারা মনে করছেন, এই ওয়েব ফিল্ম শুধু রহস্য উদঘাটন করবে না, একই সঙ্গে বাংলাদেশের সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি, সমাজের অন্ধকার দিক এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্নও সামনে তুলে ধরবে।