‘মানহানিকর’ বক্তব্যে পপিকে আইনি নোটিস
চিত্রনায়িকা পপিকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন তার এক আত্মীয়। নোটিসে এই নায়িকার বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘মানহানিকর’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার খুলনার বাসিন্দা মো. তারেক আহমেদ চৌধুরীর পক্ষে এই নোটিস পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল। খুলনা ও ঢাকার ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পপিকে আইনি নোটিসটি পাঠানো হয়েছে।

৭ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে পপিকে নোটিস
গত ২১ নভেম্বর সময় টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে পপি তারেক আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ এবং ‘মানহানিকর’ মন্তব্য করেছেন। এতে তারেক আহমেদ চৌধুরীর সামাজিক মর্যাদা ও পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি, পপিকে আইনি নোটিসে ৭ দিনের মধ্যে সময় টিভিতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জনসমক্ষে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, তারেক আহমেদ চৌধুরী ঢাকায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ পদে আছেন। চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপির চাচা প্রয়াত মিয়া কবির হোসেনের জামাতা তারেক আহমেদ চৌধুরী। বৈবাহিক সূত্রে তার সঙ্গে পপির আত্মীয়তার সম্পর্ক।
আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পদ নিয়ে বিরোধে পপি
পপিকে আইনি নোটিসে আরও বলা হয়েছে, একটি সম্পত্তি নিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। সম্পত্তিটি সাদিকা পারভিন পপির প্রয়াত চাচার ছিল। বৈধ হেবা দলিলের মাধ্যমে তারেক আহমেদ চৌধুরীর স্ত্রী ও মা সম্পত্তিটি উপহার পান এবং আইনগতভাবে মালিক হন। আমার মক্কেল ওই সম্পত্তির কোনো উত্তরাধিকারী নন। তার ওপর কোনো দখল, মালিকানা বা আইনি স্বার্থও নেই। সম্পত্তির সব বিষয় হেবা দলিল ও উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
তারপরও নোটিসগ্রহীতা ২১ নভেম্বর সময় টিভির এক অনুষ্ঠানে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর অভিযোগ প্রকাশ করেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।