ছেলের জয়ের আনন্দে মীরা নায়ারের হৃদয়স্পর্শী পোস্ট
শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে যেন নতুন একটি ইতিহাস রচনা করলো ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি। এই জয় শুধু তার একার নয়, ভারতীয় ও আফ্রিকান বংশোদ্ভূত অভিবাসী সম্প্রদায়ের জন্যও এক গর্বের মুহূর্ত। ছেলে মামদানির জয়ের খুশিতে মা মীরা নায়ার । সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর আবেগঘন পোস্টে ছেলের সাফল্যের আনন্দ ভাগ করে নিলেন এই প্রখ্যাত নির্মাতা। ভারতীয়-আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার, ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেছেন। খবরটি প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।

ছেলের জয়ের খুশিতে মীরা শেয়ার করেছেন জোয়া আখতারের একটি পোস্ট যেখানে লেখা, “জোহরান, তুমি অসাধারণ।” সঙ্গে যুক্ত করেছেন মার্কিন র্যাপার জে জেড এর গান ‘এম্পায়ার স্টেট অব মাইন্ড’, আর এভাবেই ছেলের ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন করেছেন মা মিরা।
নিউইয়র্কের ১১১তম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর জোহরান এক আবেগঘন ভাষণে বলেন, “আমি আজ যে মানুষ,তা আমার মা-বাবার শেখানো পথের ফল। আপনাদের সন্তান হতে পেরে আমি গর্বিত।”
জোহরান তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে জয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি ইতিহাস গড়েছেন কেবল প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া অভিবাসী হিসেবে নয় বরং সবচেয়ে কম বয়সে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এক শতাব্দীর মধ্যে নতুন রেকর্ডও সৃষ্টি করেছেন।
মীরা নায়ার, যিনি ‘সালাম বম্বে’ (১৯৮৮) ও ‘মনসুন ওয়েডিং’ (২০০১)এর মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, তার কাজগুলো প্রায়শই অভিবাসন, সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব ও পরিচয়সংকটের গল্প ঘিরে। এই অভিবাসনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি সম্ভবত জোহরানের রাজনৈতিক যাত্রার পিছনে অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস।
জোহরানের বাবা মাহমুদ মামদানি, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানী, আফ্রিকান ইতিহাস ও ঔপনিবেশিকতা নিয়ে গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। তার লেখা ‘সিটিজেন অ্যান্ড সাবজেক্ট’ এবং ‘হোয়েন ভিকটিমস বিকাম কিলারস’ বইগুলো আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।