চেক ডিজঅনার মামলায় চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নায়িকার স্বামী ও অভিনেতা ওমর সানী।
চিত্রনায়ক বলেন, ‘তারা ভেবেছে, মৌসুমী দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমরাও হয়তো পালিয়ে যাব। কিন্তু এই কয় টাকার জন্য মৌসুমী বা ওমর সানী কেউই দেশ ছেড়ে পালাবে না।’
সানী আরও বলেন, ‘আমরা একটি গাড়ির লোন নিয়েছিলাম। প্রতিমাসে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। তবে সম্প্রতি এক প্রতারকের কারণে আমি ও আমার সন্তান ব্যবসায়িক ক্ষতির শিকার হয়েছি। যে বিষয়টি নিয়ে আমাকে আদালতেও যেতে হয়েছে।’
অভিনেতা যোগ করেন, ‘এমন অবস্থায় আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডকে আমি একটি চিঠি দেই, এটা উল্লেখ করে- প্রতি মাসে যদি ৫০-৬০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করা যায়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য সহজ হবে। যেহেতু এখন একটা অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’
মৌসুমীর বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে জানা গেছে, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর। আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের এক লাখ ছয় হাজার ২১১ টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে মৌসুমীর বিরুদ্ধে সেই সময় ঢাকার একটি আদালতে মামলাটি করেন আইপিডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মুশফিকুর রশীদ। আদালত ঐ মামলা আমলে নিয়ে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
আদালতে হাজির হতে মৌসুমীর গুলশান-১-এর বাসায় এ সমন পাঠানো হয়। সেখান থেকে সমন ফেরত যায়। পরবর্তীকালে ২৮ এপ্রিল তার বসুন্ধরা আবাসিকের বাসায় ফের সমন পাঠানো হয়। এই দিন সমন জারি হওয়ায় অভিনেত্রী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে আগামী ১৬ অক্টোবর।
বর্তমানে মৌসুমী বাংলাদেশে নেই। মেয়েকে নিয়ে তিনি অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে।