বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রায় পুরোটা সময় একেবারেই নীরব ভূমিকায় দেখা গেছে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। তার এই নীরবতায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল করছেন নেটিজেনরা। অবশেষে সেই নীরবতা ভাঙলেন অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে নিজের অবস্থান ও পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন অভিনেতা চঞ্চল।
৯ আগস্ট ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চঞ্চল চৌধুরী লেখেন, ‘আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছি। আমার নাম ব্যবহার করে কোনো বিদেশি/দেশি পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়, তার দায় আমার নয়। কারণ, এখন পর্যন্ত আমি কোনো পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো বিষয়ে বক্তব্য দেইনি। আমি সাধারণ একজন শিল্পী। পেশাগত কারণ ছাড়া কোনো কিছুর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।’
ফেসবুকে এমন ঘোষণার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন চঞ্চল চৌধুরী, কিন্তু ঘটেছে উল্টো। অভিনেতার সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে নানান রকম নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড়!
এই প্রসঙ্গে অভিনেতার সাথে যোগাযোগ করা হয়ে, গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘কিছু মন্তব্য কয়েকবার পড়ছি। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, একটি মন্তব্যও মুছব না। ধরে নিলাম দেশের মানুষের কাছ থেকে এগুলো আমার শিল্পী জীবনের অন্যতম স্বীকৃতি। যাদের জন্য গত তিনটা দশক অক্লান্ত শ্রম, ঘাম, মেধা আর সততার ভেতর দিয়ে নিজেকে পরিচালিত করেছি। চাইলে এমপি-মন্ত্রী হতে পারতাম। হইনি। কারণ, এই মানুষের প্রিয় শিল্পী হয়ে মরতে চেয়েছি। গালির মাধ্যমে এখন আমি সেই স্বীকৃতি পাচ্ছি। গালিগুলো মুছব না, পুরস্কার হিসেবে রেখে দিলাম।’
অভিনেতা আর যোগ করেন, ‘আমি একজন শিল্পী। শিল্পীর বাইরে আমার কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। পেশাগত কারণ ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। আমি আমার পোস্টে পরিষ্কার করছি।’