প্রেক্ষাগৃহের তাণ্ডব চালিয়ে বর্তমানে জনপ্রিয় ওটিটি প্যাটফর্ম প্ল্যাটফর্ম চরকি ও হইচইয়ে চলছে সুপারহিট সিনেমা ‘তুফান’। দর্শকদের যেন ঈই সিনেমা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। এবার সেই আগ্রহের কথা মাথায় রেখে সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চার অভিনয়শিল্পী – ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খান, নাবিলা, চঞ্চল চৌধুরী ও মিমি চক্রবর্তী দিয়েছেন বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর।
শুটিং সেটে কে বেশি নার্ভাস ছিলেন?
’তুফান’ সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় ফেরা মাসুমা রহমান নাবিলা বলেন, ’তুফানে আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, কর্মক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা আমার চেয়ে অনেক বেশি। তাই আমি বেশি নার্ভাস ছিলাম। এর আগে চঞ্চল ভাইয়ের (চঞ্চল চৌধুরী) সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা আছে, তাই তার সঙ্গে নার্ভাসনেসটা কম ছিল। তবে শাকিব খানের সঙ্গে প্রথম দিন কাজ করতে গিয়ে খুব নার্ভাস ছিলাম। মিমির (মিমি চক্রবর্তী) সঙ্গে প্রথম শটের দিন আমি দূর থেকে তাকে দেখছিলাম। প্রথম দেখাতেই মিমি আমাকে হাত নেড়ে সম্মোধন করে। সেটা আমার কাছে ওয়েলকামিং ছিল এবং নার্ভাসনেস কমিয়ে দিয়েছিল।’
তুফান সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে কার কাকে পছন্দ?
এ প্রশ্নের উত্তর দিতে অনীহা ছিল সবার। তবে শাকিব খান বলেন, ’আমি আমার সব সিনেমাতেই খুব অনেস্ট। যখন যে সিনেমা করেছি সেই সিনেমার হিরোইন আমার প্রিয় সহশিল্পী।’
নিজের কথা না বললেও শাকিব–চঞ্চলের রসায়ন নিয়ে কথা বলেছেন নাবিলা। বলেন, ’তুফানে পছন্দের সহশিল্পীর নাম বলা আমাদের জন্য কঠিন হলেও শাকিব খানের ব্যাপারে বলতে পারি। তার প্রিয় সহশিল্পী চঞ্চল চৌধুরী। অফস্ক্রিনে তারা সারাক্ষণই ব্রাদারহুড মুডে ছিলেন।’
যেভাবে তৈরি হলো ’তুফান, খুব ভয় পাইছি রে’ সংলাপ–
চঞ্চল চৌধুরীর মুখে একটি সংলাপ খুব ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সংলাপটি তৈরির গল্প বলতে গিয়ে চঞ্চল বলেন, ’এ সংলাপটা আগে কোথাও লেখা ছিল না। শুটিংয়ের সময় ইনসট্যান্ট রাফি আমাকে বললো, ’চঞ্চল ভাই এ ডায়লগটা আমার লাগবে।’
নাবিলা বলেন, স্ক্রিপ্টের ওই স্পন্টিনিউয়াস পরিবর্তনের কারণেই আমাদের অভিনয়টাও স্পন্টিনিউয়াস হয়েছে, রিয়েলিস্টিক লেগেছে।’
উল্লেখ্য, ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১৭ জুন দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’। রায়হান রাফির গল্পে, আদনান আদিব খানের চিত্রনাট্যে ’তুফান’ সিনেমায় শাকিব খানকে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে। নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভারতের মিমি চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের নাবিলা।