৮ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘির বিয়েতে যারা যুক্ত হতে পারেননি তাদের জন্য সুখবর। বছরের সবচেয়ে বড় বিয়ের আয়োজনটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে উপভোগ করতে পারবেন সকলেই।
চরকিতে ‘৩৬–২৪–৩৬’ আসছে ২৮ নভেম্বর রাত ১২টায়। পরিবার, বন্ধু–স্বজন মিলে দেখা যাবে সিনেমাটি। রেজাউর রহমান, কারিনা কায়সার ও মোনতাসির মান্নানের রচনায় এবং রেজাউর রহমানের পরিচালনায় সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, সৈয়দ জামান শাওন, কারিনা কায়সার। আরও আছেন গোলাম কিবরিয়া তানভীর, আবু হুরায়রা তানভীর, মিলি বাশার, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল আলম সাচ্চু, রোজী সিদ্দিকী, শামীমা নাজনীনসহ অনেকে। কয়েকটি দৃশ্যে অভিনয় করেছেন কারিনা কায়সারের বাবা–মা।
প্রেক্ষাগৃহে ‘৩৬–২৪–৩৬’ প্রদর্শিত হচ্ছে ৩ সপ্তাহ ধরে। সিনেমাটি দেখে দর্শকরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় এটিকে ভালোই বলেছেন। সামিহা নামের এক দর্শক ২০ নভেম্বর সিনেমাটি দেখে জানিয়েছেন, ‘একটি মিষ্টি সিনেমা! সহজ, সুন্দর গল্পে মজার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও আছে।’
এক দর্শক সিনেমাটির শেষ সংলাপ নিয়ে এভাবে বলেছেন, ‘পুরো মুভির মধ্যে লাস্ট পার্টটার কথাগুলো আমাকে খুব বেশি কানেক্ট করেছে।’ আরেক দর্শকের প্রতিক্রিয়া এমন, ‘আনন্দ, কষ্ট, ইমোশনাল পার্ট আছে সিনেমায়। সবাই সিনেমাটি দেখতে পারেন, তবে যারা নিজেদের নিয়ে ইনসিকিউরিটিতে ভোগেন তারা অবশ্যই দেখবেন সিনেমাটি।’
’৩৬–২৪–৩৬’ সিনেমায় সায়রা চরিত্রটি একজন মেধাবী ও সফল ওয়েডিং প্ল্যানার। কিন্তু শুধুমাত্র ‘ওভার সাইজ’– এর কারণে তাকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখেন অনেকে। এমন একটি গল্প নিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে সিনেমাটি।
সিনেমায় সবার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে দর্শক মহলে। তবে এ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষিক্ত হওয়া কারিনা কায়সার যেন আলাদা করেই চোখে পড়েছেন দর্শকদের। এ প্রসঙ্গে কারিনা কায়সার বলেন, ‘দর্শকদের আমার অভিনয় ভালো লেগেছে জেনে খুবই আনন্দিত আমি। এমন ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সিনেমাটি দর্শকদের ভালো লাগলেই আমাদের সার্থকতা।’
সিনেমাটির নির্মাতা রেজাউর রহমান বলেন, ‘প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা শেষে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া, তাদের হাততালি দেখে আমি সত্যি অনুপ্রাণিত। যে কথাটা সিনেমার মাধ্যমে বলতে চেয়েছি, মনে হয়েছে সেটা দর্শকদের কাছে পৌঁছেছে। ‘৩৬–২৪–৩৬’ এবার ওটিটিতে আসছে। আশা করছি, এটি আরও অনেক দর্শকের কাছে পৌঁছাবে এবং তারাও সিনেমাটিকে ভালোবাসা দেবেন।’
সিনেমায় প্রিয়ন্তী চরিত্রে দীঘি এবং তাহসির চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৈয়দ জামান শাওন। তার বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবু হুরায়রা তানভীর। চরিত্রটি হাস্যরস তৈরী করেছে সিনেমায়। গোলাম কিবরিয়া তানভীর অভিনয় করেছেন ফটোগ্রাফারের চরিত্রে।
চরকি অরিজিনাল ‘৩৬–২৪–৩৬’ মিনিস্ট্রি অফ লাভ প্রজেক্টের পঞ্চম সিনেমা। এর সহ–প্রযোজক নুসরাত ইমরোজ তিশা। এ প্রজেক্টের আওতায় এখন পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ‘মনোগামী’, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ এবং ‘ফরগেট মি নট’।