মুম্বাইয়ের দাপুটে নেতা বাবা সিদ্দিকের মৃত্যুর মামলার সাথে বেশ ভালোভাবে জড়িয়ে গেলো বলিউডের ভাইজান সালমান খানের নাম। এ নেতার মৃত্যু নিয়ে যখন প্রশ্ন কে খুন করলো তাকে, কেন-ই-বা খুন করলো, ঠিক তখনই দায় স্বীকার করে নিলো লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। পাশাপাশি আবারো হুঁশিয়ারি দিলো সালমানকে।
১২ অক্টোবর রাতে দশেরা উদযাপনের সময় মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় অফিসের বাইরে হঠাৎ গুলি করা হয় এনসিপি নেতা ও মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। এতে নিহত হন তিনি।
বাবা সিদ্দিকের সাথে দারুণ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সালমানের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী, সালমানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণেই বাবা সিদ্দিককে খুন হতে হয়েছে বলে দাবি করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। বর্তমানে গ্যাংটির এই দাবির সত্যতা নিয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই পুলিশ।
গ্যাংটির দায় স্বীকার করা ফেসবুক পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আমি জীবনের মর্ম বুঝি, সম্পদ ও শরীরকে ধূলা বলে মনে করি। এজন্য বন্ধুত্বের কর্তব্যকে সম্মান জানিয়ে যেটি ঠিক, তাই করেছি। বলিউড অভিনেতা সালমান খান, আমরা এই ধরনের যুদ্ধ কখনো চাইনি। কিন্তু আপনার জন্য আমাদের ভাইকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।’
মূলত পোস্টে যে ফের সালমান খানকে হুমকি দেয়া হয়েছে, তা অনেকটাই স্পষ্ট।
উল্লেখ্য যে, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যামামলা থেকেই সালমান খান ও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের মধ্যকার শত্রুতার শুরু হয়। দীর্ঘদিন থেকেই গ্যাংটির পক্ষ থেকে অভিনেতাকে হু’মকি দেওয়া হচ্ছিলো। ২০২৪ সালে কিছুদিন আগেই সালমানের বাড়ির সামনে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতিকারীরা। এরপর মুম্বাই পুলিশ কর্তৃক অভিনেতার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। এবার বাবা সিদ্দিককে হত্যার পর সালমান খানকে উদ্দেশ্য করে গ্যাংটি যখন হুমকি বার্তা পাঠায়, তখন থেকে আরও একধাপ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে অভিনেতার। কড়া নিরাপত্তার মাঝেই ১৩ অক্টোবর বাবা সিদ্দিককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন সালমান।