১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন উপমহাদেশের অন্যতম কিংবদন্তি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। ওস্তাদ জাকির হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস থেকে উদ্ভূত এক জটিলতার কারণে হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
ওস্তাদ জাকির হোসেন মারা গেছেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু, এনডিটিভিসহ আরও বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে প্রচার করা হয়। পরে আমির আউলিয়া নামের একজন এক্সে এক পোস্টে বলেন, তিনি জাকির হোসেনের ভাতিজা। জাকির হোসেন মারা যাননি। তবে এই খবরের কয়েক ঘণ্টা পরই জাকির হোসেনের পরিবার ভারতীয় সংবাদমধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫১ সালের ৯ মার্চ ভারতের মুম্বাইয়ে জন্ম জাকির হোসেনের। তার বাবা ওস্তাদ আল্লারাখা খানও একজন প্রখ্যাত তবলাবাদক ছিলেন। জাকির হোসেন শৈশব থেকেই তবলা বাজানোয় দক্ষতা অর্জন করেন। ভারতীয় ক্লাসিক্যাল সংগীতের একজন পুরোধা হিসেবে বিবেচনা করা হয় জাকির হোসেনকে। ১৯ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। পণ্ডিত রবিশঙ্করের সাহচর্যে ১৯৭০ সালে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
নিউইয়র্কে থাকা অবস্থায় ইংলিশ গিটারিস্ট জন ম্যাকলাফলিনকে নিয়ে ব্যান্ডদল ‘শক্তি’ প্রতিষ্ঠা করেন জাকির হোসেন। ২০০৬ সালে ‘মোমেন্ট রেকর্ড’-এর মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবাম ‘গোল্ডেন স্ট্রিং অব দ্য সরোদ’ গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, গ্র্যামি ছাড়া আরও বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জাকির হোসেন।