সংগীতশিল্পী ঐশী
ধরুন, রূপকথার সেই আলাদিনের চেরাগ পেলেন আপনি! তাতে ঘষাও দিলেন। ‘জো হুকুম’ বলে বেরিয়ে এলো বিশালাকৃতির সেই দৈত্য। আপনার তিনটি চাওয়া পূর্ণ করবে সে। কী চাইবেন দৈত্যের কাছে? এমন প্রশ্নে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো নিষিদ্ধ চান ঐশী ।
তার প্রথম চাওয়া চাওয়া হিসেবে সংগীতশিল্পী ফাতিমা তুয-যাহরা ঐশী বলেছেন, প্রথমেই ফিরে পেতে চাইতাম আমার বাবাকে। আমার জীবনে বাবা ছিল ছায়ার মতো। আমার দেখা পৃথিবীর সেরা আদর্শবান ব্যক্তি। আমি যখন গাইতে স্টেজে উঠতাম, সেখানেও বাবা আমার পাশে থাকতেন।
জীবনে যখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উনার ভীষণ রকমের সাপোর্ট পেয়েছি। বাবার মৃত্যুর পর বুঝেছি উনি আমার জীবনের কতটা জুড়ে ছিলেন।
দ্বিতীয় চাওয়া নিয়ে ঐশী বলেন, “ এ চাওয়াটা অবশ্য অদ্ভুত শোনাবে। আমি চাই বাংলাদেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো নিষিদ্ধ হয়ে যাক। হ্যাঁ এটা সত্য, এগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে মানুষের ভালোর জন্যই।কিন্তু আমাদের দেশে মানুষ এসব ব্যবহার করছে কোনো ওরিয়েন্টেশন ছাড়াই।
বিষবাষ্প নিয়ে ঐশী
যে জিনিসটা সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মাঝে শান্তি ছড়ানোর জন্য, সেখানে আমাদের দেশের মানুষ ছড়াচ্ছে বিষবাষ্প। আজকে কোনো শিল্পী মারা গেলে তার পাপের হিসাব খুলে তাকে দোযখে নিয়ে যাবে একদল। আমরা যারা শিল্পী তাদের পেজে অসংখ্য উদ্ভট কমেন্ট আসতে থাকে। আমরাও তো মানুষ, কতটুকু সহ্য করা যায়! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বিষবাষ্প ছড়ানো হচ্ছে, তার জন্যই আমি চাই এসব নিষিদ্ধ হোক। নেটিজেনরা এর সঠিক ব্যবহার করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন ঐশী।
যৌথ পরিবারে ঐশী
তৃতীয় চাওয়া নিয়ে ঐশী বলেন, “আমি পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ; কিন্তু এখন আমাকে থাকতে হয় একক পরিবারে। যেখানে আমরা শুধু দুজন স্বামী-স্ত্রী। আমাদের দুই পক্ষের পরিবার মিলে যদি একটা বিশাল বাড়িতে থাকতে পারতাম, খুব ভালো হতো। যৌথ পরিবারের যে আনন্দ, সেটা উপভোগ করতাম। আবার মন্দ কিছুকে সবাই মিলে দূর করতেন বলেও জানিয়েছেন এই শিল্পী।