কুমার শানু ও রীতা ভট্টাচার্য
বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্ব এবার আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে কুমার শানু তার প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের নামে মানহানির মামলা করেন। এবার কুমার শানুর মানহানির মামলা নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য। কুমারের করা কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবিকে দুর্ভাগ্যজনকও বলেছেন তিনি।
কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে কুমার শানুর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য। এই তারকা এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের মারাত্মক কিছু অভিযোগ সামনে আনেন রীতা ভট্টাচার্য। রীতা দাবি করেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন শানু তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছেন। এমনকি তাকে খাবার পর্যন্ত দেওয়া হতো না বলে অভিযোগ করেন রীতা। এছাড়া কুমার শানুর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথাও সামনে আনেন তিনি।

কুমার শানুর মানহানির মামলা ও রীতার জবাব
এসব অভিযোগের পর নিজের ভাবমূর্তি রক্ষায় মুম্বাই হাইকোর্টে যান কুমার শানু। ৫০ কোটি টাকার মানহানীর মামলা করেন। তার এই দাবিতে অবাক হয়েছেন রীতা। গত ১৭ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা শোনা যায় কিন্তু রীতা জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রীতা জানান, ‘ওর পক্ষ থেকে আমাকে যে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে, সেখানে ৫০ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। এটা সত্যি দূর্ভাগ্যজনক।‘

‘আমি বুঝতে পারছি না ও কীভাবে ভাবল যে আমার কাছে এত টাকা আছে। এটা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়। ও কি ভুলে যাচ্ছে যে ও নিজের তিন সন্তানের মায়ের বিরুদ্ধেই মামলা করছে?’
রীতা অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন কুমার শানুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কগুলো প্রকাশ্যে আসে। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স এতই কম ছিল যে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছিল। আমাকে রান্নাঘরে আটকে রাখা হতো, বাচ্চার দুধ কিংবা চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছিল।’
রীতা তার সেই সাক্ষাৎকারে আরো জানিয়েছেন, ‘আমার ওঁর সঙ্গে কথা বলার কোনও সুযোগ হয়নি। না আমি, না আমার বাচ্চারা তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। কারণ তিনি সবসময় আমাদের নম্বর ব্লক করে দিয়েছেন। আমি শানুকে ফোন করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তিনি কখনও ফোন তোলেননি। তিনি আমাদের তাঁর নম্বরে ব্লক করে রেখেছেন।’