কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন
জয়া আহসান অভিনেত্রী হলেও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গায়ও আছে তার উপস্থিতি। অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত। আসন্ন কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে জয়া আহসান এসেছেন।
দেশে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার অভিযোজন ও সহনশীলতার মডেল দেখতে খুলনার দাকোপ সফর করেছেন তিনি। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

এই সফরের আসল উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তব প্রভাব এবং ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সংগ্রাম, সক্ষমতা ও অভিযোজনমূলক উদ্যোগগুলো সশরীরে দেখা। সফরের অংশ হিসেবে তারা স্থানীয় সরকার বিভাগ, সুইডেন ও ডেনমার্কের সহায়তায় বাস্তবায়িত ইউএনডিপি ও ইউএনসিডিএফের লজিক প্রকল্প পরিদর্শন করেন। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার কাঠামো শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের জলবায়ু অভিযোজন ও বিকল্প জীবিকার সুযোগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এই সফর নিয়ে জয়া আহসান জানিয়েছেন, দাকোপে এসে আমি দেখলাম, জলবায়ু পরিবর্তন এখানে কেবল একটি সংবাদ নয়, এটি প্রতিদিনের বাস্তবতা। এই চ্যালেঞ্জের মাঝেও মানুষ যেভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, যা অসাধারণ মানবিক শক্তির উদাহরণ।‘
জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের সংগ্রাম নিয়ে প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, এটি ভবিষ্যতের আশঙ্কা নয়, এটি বর্তমানের সংগ্রাম। বিশেষ করে নারীদের নেতৃত্ব ও অভিযোজন ক্ষমতা অনুপ্রেরণাদায়ক। কপ-৩০-এ বাংলাদেশের এই গল্প বিশ্বকে শোনাতে হবে।

সফরের সময় তারা দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন এবং পানি সংকট, লবণাক্ততা প্রতিরোধ, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি ও অভিযোজনমূলক উদ্ভাবনগুলো পরিদর্শন করেন।
এ ছাড়া, ইউএনডিপি ও ইউএনসিডিএফের লজিক প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় জনগণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগের সুবিধা এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এর মাধ্যমে, প্রান্তিক জনগণের জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তাদের আত্মনির্ভরশীলতা আরও শক্তিশালী হচ্ছে।
জয়া আহসান ব্যক্তি জীবনে প্রাণী অধিকার নিয়ে বেশ সরব। বিভিন্ন সময়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে দেখা যায় নানা সামাজিক ইস্যুতেও সরব থাকতে।