হামলার জন্য কাকে দায়ী করলেন জেমস?
ফরিদপুরে হামলায় নগরবাউল জেমসের কনসার্ট পণ্ড হয়েছে। ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সেই কনসার্টটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বহিরাগতদের হামলায় কারণে তা বাতিল করা হয়। আয়োজক কমিটির অভিযোগ, বহিরাগতদের অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে না দেওয়ায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে মঞ্চ দখলের চেষ্টা করে। পরে জেলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়।

দুই দিনব্যাপী সেই অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন শ্রাবণ্য তৌহিদা। ঘটনার সময় তিনি মঞ্চেই ছিলেন। তিনি বলেন, ‘পুরো ঘটনা আমি নিজের চোখে দেখেছি। সত্যিই ভয়ংকর পরিবেশ। ঢাকায় ফিরে এলেও ট্রমা যেন কাটছে না।’ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শ্রাবণ্য আরও বলেন, ‘তাদের যতই শান্ত করার চেষ্টা করা হয়, ততই তারা ইটপাটকেল ছুড়ছিল। র্যাফেল ড্র ঘোষণার কাজ করলেও আতঙ্কিত ছিলাম। হঠাৎ বড় একটি ইট মঞ্চে, ঠিক আমার সামনে এসে পড়ল! এরপর তাকিয়ে দেখি, শত শত মানুষ দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকছিল। ফরিদপুর জিলা স্কুলের তরুণেরা ওদের থামানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু কোনোভাবে থামছিল না।
কারা হামলা করলো জেমসের কনসার্টে?
ফরিদপুরের অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ার জন্য আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেছেন নগরবাউল জেমস। অনুষ্ঠান বাতিলের ঘটনায় জেমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি পুরোপুরি আয়োজকদের ব্যর্থতা।

নগরবাউল ও জেমসের মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তারা ফরিদপুরে পৌঁছে গেস্ট হাউসে ওঠেন। সেখানেই তারা বিশৃঙ্খলার খবর পান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আয়োজকরা অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত জানান। এরপরই জেমস ও তার টিম ঢাকায় ফিরে আসেন।

এ বিষয়ে জেমস নিজেও কথা বলেন। তিনি জানান, এই ঘটনার জন্য আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাই দায়ী। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর শহরের নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের গেস্ট হাউজ থেকে দ্রুত বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন জেমস। জিলা স্কুলে যাওয়ার আগেই পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তিনি সরাসরি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। সে সময় তার সঙ্গে থাকা লোকজন শিল্পীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর ছিলেন।