বিজয় ভার্মার পাশে আমির কন্যা ইরা খান
করোনাকালের সবচেয়ে অন্ধকার দিনগুলোতে নিজের ভেতরের লড়াই নিয়ে এবার খোলামেলা কথা বললেন অভিনেতা বিজয় ভার্মা। নতুন এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন মহামারির সময় ভয়াবহ অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন তিনি, আর সেই কঠিন সময়টায় বিজয় ভার্মাকে বাঁচালেন আমির খানের মেয়ে ইরা খান ।


বিজয়ের মতে তার মানসিক অস্থিরতার মূল সূত্রটা লুকিয়ে আছে শৈশবেই। বাবার সঙ্গে জটিল সম্পর্কের দাগ আজও তাকে তাড়া করে বেড়ায়। রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্ট চ্যাপ্টার ২-তে এ অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ছোটবেলায় বাবা তার কাছে ছিলেন নায়ক, ব্যবসার কাজে বাইরে যেতেন, ফিরতেন হাতে ছোটখাটো উপহার নিয়ে। কিন্তু সেই একই মানুষই ছিলেন হঠাৎ রাগী, অনিশ্চিত, কখনো স্নেহময় তো কখনো ঝড়ের মতো।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সম্পর্কেই ফাটল তৈরি হয়। বিজয় জানান বাবা তাকে ভালোবাসতেন ঠিকই কিন্তু চাইতেন তার ইচ্ছেমতো জীবন, ক্যারিয়ার কেমন হবে, কার সঙ্গে মিশবে, কোথায় সময় দেবে সবকিছুতেই ছিল বাবার চাপ। বিজয় বলেন, “আমার আচরণের প্রায় সবই যেন তাকে বিরক্ত করত’।
অভিভাবকের দায়িত্বে আমির খানের মেয়ে ইরা খান
মুম্বাইয়ের ছোট এক ফ্ল্যাটে একা থাকার সেই সময়েই ধরা পড়ে তীব্র বিষন্যতা। দিনের পর দিন একাকিত্ব তাকে ভিতর থেকে গিলে খাচ্ছিল এবং ঠিক তখনই ইরা খান বুঝতে পারেন, বিজয়ের পাশে কারও থাকা প্রয়োজন। অভিনেতা বলেন, আমি দিন দিন ভেতর থেকে ভেঙে পড়ছিলাম। ইরাই প্রথম বলেছিল, ‘বিজয়, তোমাকে নড়তে হবে।’ সে আমাকে জুমে ওয়ার্কআউট করতে বাধ্য করেছিল। এক প্রকার কোচের মতো পাশে ছিল ” স্মৃতিচারণ করে অভিনেতা বলেন “যোগব্যায়াম ও থেরাপি তাকে নিজের ভেতরের চাপা কষ্টগুলো মোকাবেলা করতে সাহায্য করেছে। ‘আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেঁদে ফেলতাম, অথচ কারণটা বুঝতাম না”

ইরা খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিজয় বলেন, “সে-ই বলেছিল, থেরাপি খারাপ কিছু নয়। বিশৃঙ্খল পরিবার থেকে এসে যদি তুমি নিজের সমস্যাগুলো মেটাতে না পারো, সেটা সারাজীবনের জন্য মনে দাগ ফেলে যায়। তুমি ভাবো ভুলে গেছো, কিন্তু অবচেতন মন সেটা মনে রাখে।” তার মতে, শৈশবের ভাঙন মানুষকে ভালোবাসাকে নিয়েই সন্দিহান করে তোলে। তখনই অন্যদের দূরে ঠেলে দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় একটা অদেখা ভয় থেকে।