সিনেমা মুক্তির স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম ও অভিনেতা ইমরান হাশমি অভিনীত সিনেমা ‘হক’ এ মাসের ৭ নভেম্বর মুক্তির কথা। কিন্তু তা আর হচ্ছে না কারণ সিনেমাটি আইনি জটিলতায় পড়েছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আদালতে ইমরান হাশমীর সিনেমা। শাহ বানু বেগমের উত্তরাধিকারীরা সিনেমাটির মুক্তির স্থগিতাদেশ চেয়ে ভারতের ইন্দোর হাইকোর্টে রিট করেছেন।

বানু বেগমের পরিবারের অভিযোগ, ছবিটি মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুভূতিকে আঘাত করেছে এবং শরিয়া আইনকে অবমাননাকর ও নারীবিরোধী মনোভাব নিয়ে উপস্থাপন করেছে। তারা আরও দাবি করেছে যে ছবির নির্মাতারা শাহ বানু বেগমের জীবন বা গল্প চিত্রিত করার জন্য কোনো আইনি অনুমোদন বা উত্তরাধিকারীদের সম্মতি নেননি।
বানু পরিবারের পক্ষের আবেদনকারী আইনজীবী তৌসিফ জে. ওয়ারসি ভারতের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “যেহেতু সিনেমাটিতে শাহ বানুর ব্যক্তিগত জীবন চিত্রিত করা হয়েছে, এবং এটি দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা সিনেমা, তাই আমরা জানি না কোন ঘটনাগুলি এতে দেখানো হয়েছে, বা কীভাবে সেগুলি উপস্থাপন করা হয়েছে। অতএব, সিনেমাটির কাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু মুক্তির আগে তার আইনি উত্তরাধিকারীদের কাছে প্রকাশ করা উচিত।”
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আইনজীবী হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন পরিনাম ল-এর হিতেশ জৈন এবং নায়েক অ্যান্ড নায়েকের আইনজীবী অমিত নায়েক। তবে তারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি এখন পর্যন্ত।

এর আগে ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরাধিকারীরা নির্মাতাদের নোটিশ পাঠিয়ে ছবির মুক্তি স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছিল, শাহ বানুর ব্যক্তিগত জীবন অনুমতি ছাড়া দেখানো হয়েছে, যা মানহানির পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন করে। তবে নির্মাতারা সে কথা আমলে না নেওয়ায় তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। হাইকোর্টে শিগগিরই মামলাটির শুনানি হবে।
সিনেমা নিয়ে ইমরান হাশমীর বয়ান
‘হক’ ছবিটির ট্রেলার ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে এবং ব্যাপকভাবে প্রশংসিতও হয়েছে। জনমনে প্রশংসার পাশাপাশি বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে ট্রেলারটি। সিনেমায় বানু বেগমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম।
সিনেমাটির গল্প নিয়ে ইমরান হাশমি জানিয়েছেন, ছবিটি শাহ বানুর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির আইনি লড়াইয়ের গল্প। ১৯৮৫ সালের এই ঐতিহাসিক মামলায় দেখা যায়, বানুর স্বামী আহমেদ খান তাকে তালাক দেন, এরপর শাহ বানু লড়াই করেন তার ভরণপোষণের অধিকারের জন্য।
ইমরান হাশমির মতে, গল্পটি দায়রা আদালত, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের মধ্য দিয়ে তার সংগ্রামের উপর ভিত্তি করে তৈরি।