Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

দাফন করা হচ্ছে কুষ্টিয়ায়

দাফন করা হচ্ছে কুষ্টিয়ায়
দাফন করা হচ্ছে কুষ্টিয়ায়

দাফন করা হচ্ছে কুষ্টিয়ায় : সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে

গতকাল শনিবার মারা গেছেন দেশবরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। ফরিদা পারভীনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। তাঁর মৃতদেহ দাফন করা হচ্ছে কুষ্টিয়ায় । লালনসংগীতের এই মহান শিল্পীর মৃত্যুতে ভক্ত ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া।

গতকাল রাতে হাসপাতালে গণমাধ্যমের সামনে এসব তথ্য জানান শিল্পীর স্বামী প্রখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ গাজী আব্দুল হাকিম।

এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফরিদা পারভীন।

ওস্তাদ গাজী আব্দুল হাকিম সাংবাদিকদের জানান, সকালে ‘অচিন পাখি’ নামে গানের স্কুলে শিল্পীকে নেওয়া হবে। এরপর সকাল ৯টায় তেজকুনি পাড়া মসজিদে শিল্পীর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

দেশবরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন

তিনি আরো বলেন, শিল্পী, কলাকুশলীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শিল্পীর মরদেহ সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় শিল্পীর মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে।

সেখানে আরেকটি নামাজে জানাজা হবে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ কুষ্টিয়াতে নেওয়া হবে। সেখানকার পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে ফরিদা পারভীনকে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, লালনের গানের বাণী ও সুরকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে ফরিদা পারভীনের অবদান সর্বজনস্বীকৃত।

দেশের পাশাপাশি বিশ্বদরবারেও তিনি লালন সাঁইয়ের বাণী ও সুরের প্রচারে কাজ করে গেছেন। জাপান, সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহু দেশে লালনসংগীত পরিবেশন করেছেন।

লালনসংগীতে অবদান

লালনসংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ সিনেমার ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৮ সালে তিনি জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন।

লালনশিল্পী হিসেবে সুপরিচিত হলেও, তার কণ্ঠে বেশ কিছু আধুনিক ও দেশের গান জনপ্রিয় হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘তোমরা ভুলে গেছ মল্লিকাদির নাম’, ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ইত্যাদি।

Share this article
Comments 1
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read next

সঞ্জয়ের ৩০ হাজার কোটি রুপী নিয়ে চলছে লড়াই

সঞ্জয় কাপুরের ৪১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলছে লড়াই কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী ও ভারতীয় শিল্পপতি সঞ্জয়…

নওশীনের বিশেষ শ্রদ্ধা

নওশীনের বিশেষ শ্রদ্ধা : হিল্লোলের সাবেক স্ত্রী তিন্নিকে সম্মান প্রায় আড়াই বছর পর দেশে ফিরেছেন উপস্থাপিকা ও…

আমির খান ক্ষুব্ধ 

আমির খান ক্ষুব্ধ : বলিউড তারকাদের নিয়ে তার বিরক্তি বলিউড তারকাদের অনর্থক চাহিদার সমালোচনা করেছিলেন পরিচালক…
Exit mobile version