‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’
গত শুক্রবারে মুক্তি পেয়েছে জেমস ক্যামেরনের বহুল প্রতিক্ষীত অ্যাভাটার সিরিজের তৃতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। ছবিটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই বক্স অফিসে বেশ আয় করেছে। তবে সিনেমাটির আয়ের যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিলো তার থেকে কিছুটা কমই হয়েছে। কিন্তু এটি যে ব্যবসায়িক সাফল্য পাবে হবে তা নিয়ে সংশয় নেই সিনেমা বিশ্লেষকদের। দেখে নেয়া যাক বক্স অফিসে কত আয় করল ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’।
টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি স্টুডিওজের তথ্যমতে, উত্তর আমেরিকার বাজারে মুক্তির প্রথম তিন দিনে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ডলার আয় করতে যাচ্ছে । শনিবার এক দিনেই সিনেমাটি আয় করেছে ২৮ মিলিয়ন ডলার। তবে দ্বিতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’-এর তুলনায় তৃতীয় কিস্তির শুরুর আয় তুলনামূলক কম। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সিনেমাটি জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

বক্স অফিসে মোট আয়
তথ্য মতে, বিশ্বের সবগুলো প্রেক্ষাগৃহের হিসাব মিলিয়ে সিনেমাটির প্রথম সপ্তাহের আয় ৩৪০ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে চীনে বক্স অফিস চার্টে সিনেমাটি এখনও শীর্ষে রয়েছে। সেখানে এর আয় এখন পর্যন্ত ৫২ মিলিয়ন ডলার।
সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও সাধারণ দর্শকরা সিনেমাটিকে নিয়ে বেশ আগ্রহী। দর্শকদের জরিপে এটি ‘এ’ সিনেমা স্কোর পেয়েছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে জেমস ক্যামেরন আবারও নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন বলে মনে করছেন দর্শকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সিনেমার ভিএফএক্স এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের কাজ বেশ প্রশংসা ছড়িয়ে কুড়াচ্ছে।
এদিকে ‘অ্যাভাটার’ এর আরও সিক্যুয়েল আসবে কিনা সেটা দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তির বছর কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন ক্যামেরন। তিনি আরও তিন কিস্তির ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন সেসময়। তিনি জানিয়েছিলেন, চতুর্থ ও পঞ্চমটি মুক্তি পাবে যথাক্রমে ২০২৬ ও ২০২৮ সালে। ক্যামেরন বলেছিলেন, ‘সব কটিরই চিত্রনাট্য লেখা শেষ, ঘটনাক্রম থেকে শুরু করে সিনেমায় কী দেখাব, সেটা পুরোপুরি তৈরি।’
তবে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ মুক্তির আগে তিনি বলেছেন ভিন্ন কথা। ক্যামেরন জানিয়েছেন, ছবিটির ফল দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। ভ্যারাইটিকে নির্মাতা আরও জানিয়েছেন, শিগগিরই নতুন ‘টার্মিনেটর’ সিনেমার কাজও শুরু করবেন। তবে নতুন কিস্তিতে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার থাকবেন না।