‘এক্স ফোর্স প্রেজেন্টস আতিফ আসলাম অ্যাট মেইন স্টেজ শো’
ঢাকার সংগীতপাগল তরুণদের জন্য আসছে আবারো বিশেষ এক সন্ধ্যা। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, আলো আর সুরের জোয়ারে রাজধানীকে মাতিয়ে তুলতে জনপ্রিয় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম আসছেন ঢাকায়। আগামী ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘এক্স ফোর্স প্রেজেন্টস আতিফ আসলাম অ্যাট মেইন স্টেজ শো’, যেখানে নিজের জনপ্রিয় সব গান আর লাইভ পারফরম্যান্স দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করবেন তিনি। তবে এই কনসার্ট ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নানান গুজব। আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে আয়োজক সংস্থা থেকে।
আয়োজকদের ভাষ্য অনুযায়ী, নতুন প্রজন্মের ইতিবাচক শক্তি ও সৃজনশীলতাকে অনুপ্রাণিত করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
কনসার্টটি হবে ঢাকার ১০০ ফুট এবং ৩০০ ফুট সড়কের মধ্যবর্তী একটি আধুনিক, বিস্তৃত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ আউটডোর এরিনায়। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে সহজে পৌঁছানোর জন্য রাখা হবে একাধিক পরিবহন সুবিধা। দর্শক, শিল্পী এবং সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তাকে কেন্দ্রে রেখে পুরো আয়োজনের নকশা সাজানো হয়েছে।
আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে গুজব
তবে আয়োজনের পরিকল্পনা সামনে এগোতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে নানা ভুল তথ্য। কেউ বলেছে আতিফ আসবেন না, কেউ দাবি করেছে ভেন্যু নাকি ঠিক হয়নি। এসব গুজব আয়োজকদের সাময়িক অস্বস্তিতে ফেললেও, মেইন স্টেজ ইনক শুরু থেকেই জানিয়ে আসছিল নিরাপত্তাজনিত কারণেই ভেন্যুর নাম প্রকাশে বিলম্ব করা হয়েছে, আর এই সুযোগেই বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে।
আয়োজকরা আরও জানিয়েছেন, ভেন্যু সংক্রান্ত সব অনুমোদন, ফরমালিটি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন। নিরাপত্তা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আয়োজনটি সাজানো হচ্ছে, যাতে উপস্থিত সবাই নিশ্চিন্তে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন।
সব বিতর্কের অবসান ঘটান আতিফ আসলাম নিজেই। গত বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কনসার্টের অফিসিয়াল পোস্টার শেয়ার করে তিনি নিশ্চিত করেন যে, এই বিশেষ শোতেই অংশ নিতে তিনি ঢাকায় আসছেন। তার পোস্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে নতুন উত্তেজনা ও প্রত্যাশা।
মেইন স্টেজ ইনক-এর মুখপাত্র রিসালাত বলেন, ‘আমরা ইভেন্টটি একেবারেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে আয়োজন করছি। সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিটি ধাপ এগোচ্ছি। এটি তরুণদের ইতিবাচক ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি বড় উদ্যোগ। আমরা আশাবাদী, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা সম্পূর্ণভাবেই পাবো। সবাইকে অনুরোধ, গুজব কিংবা অসত্য তথ্য নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে অফিসিয়াল তথ্যেই বিশ্বাস রাখুন।’
সব মিলিয়ে এই ডিসেম্বরে আরও রঙিন হতে চলেছে ঢাকার প্রাঙ্গণ। শহরের রাতজাগা তরুণরা অপেক্ষায়, মঞ্চে আবার কবে সেই পরিচিত কণ্ঠ উঠবে, আলো নিভে যাবে, আর গিটার রিফ শুরু হতেই ভেসে আসবে পরিচিত সেই সুর।