২০ সেপ্টেম্বর দিনভর বাংলাদেশের মিডিয়াপাড়া সরগরম ছিল একটি ডিভোর্স লেটার নিয়ে! কারণ বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে চিত্রনায়িকা পরীমণি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের। রাজের সাথে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘুম থেকে উঠে ‘আকাশ থেকে পড়ার’ ন্যায় ভান করেন। অপরদিকে, সারাদিন ডিভোর্স নিয়ে কোনো অফিশিয়াল বক্তব্য না দিলেও রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগের একটি বিস্ফোরক স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট সহ নতুন করে লেখা দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস শেয়ার করেন পরী। স্ট্যাটাসে তিনি নিশ্চিত করেন রাজকে তার অফিশিয়ালি ডিভোর্স দেওয়ার কথা!
পরী তার স্ট্যাটাসে রাজকে “ভয়ংকর মানুষ” বলে আখ্যায়িত করে দীর্ঘ বার্তায় জানান বিয়েটি টিকিয়ে রাখার জন্য তার একাধিক প্রচেষ্টার কথা। পাশাপাশি তার সাথে এই নায়ক “যে অন্যায়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা” বলে উল্লেখ করে রাজের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল করার মত মারাত্মক অভিযোগও করেন এই অভিনেত্রী।
পুরোনো স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশটে আছে পরীর সাথে রাজের সম্পর্কের অবনতির বিভিন্ন দিক। ঐ সূত্র ধরেই পরী তার নতুন স্ট্যাটাসে লিখেন, “সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে! একই রকম ভুলের ক্ষমা কতো বার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ওউন করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন। যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেলো প্রতিনিয়ত!”
সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে পরী আরও যোগ করেন, “আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি। সেও সুযোগ পেতো কারন আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি।”
সবশেষে নায়িকা জানান, “আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক ওয়েতে। এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেয়া। না হয় আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা। বিঃদ্রঃ আমার ছেলের যাবতীয় খরচ মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি একা বহন করবো। এতো দিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ানশিপ এখন তার মা’র। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।”
পরীর বক্তব্য থেকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি তো হলো নিশ্চিত। কিন্তু ঐ নোটিশ ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর নাগাদ হাতে পাননি রাজ, সাংবাদিকদের কাছেই প্রথম শুনেছেন এই ব্যপারে। অভিনেতার এমন বক্তব্য অবাক করেছেন অনেককেই।
রাজ কি আসলেও জানতেন না ডিভোর্স নোটিশ নিয়ে কিছুই? নাকি পর্দার অভিনেতা বাস্তবেও করলেন অভিনয়? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কেবল রাজই দিতে পারবেন।