“রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব”
সম্প্রতি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয় “রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব”। এই অনুষ্ঠানের সেরা সিনেমা পুরস্কার জিতলো রোহিঙ্গাদের নিয়ে নির্মিত সিনেমা। সেরার তকমা পেয়ে কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছে সিনেমাটি। সিনেমাটির নাম ‘লস্ট ল্যান্ড’। ডিসেম্বরের ৪ তারিখে শুরু হয়েছিলো এই উৎসব। গত ১২ ডিসেম্বর সৌদি আরবের ‘হিউম্যান টাইড’ তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। খবর ডেডলাইন।
উৎসবে মোট ১৫টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এই তালিকায় সবার নজর ছিলো সেরা সিনেমার পুরস্কারের দিকে। সেরা সিনেমার জন্য ঘোষিত ছিলো নগদ ১ লাখ ডলার বা ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। উৎসবে এবার সব সিনেমাকে পেছনে ফেলে ‘লস্ট ল্যান্ড’ জিতে নিলো সেরার তকমা।

‘লস্ট ল্যান্ড’ সিনেমাটি জাপান, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে। সিনেমাটি পঞ্চম রেড সি উৎসবের প্রধান শাখায় প্রতিযোগিতা করে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে নির্মিত সিনেমা কি নিয়ে ?
‘লস্ট ল্যান্ড’ পরিচালনা করেছেন জাপানের তরুণ নির্মাতা আকিও ফুজিমোটো। সিনেমার গল্প বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুই শিশুর পরিবার খোঁজা নিয়ে। ৯ বছরের সামিরা ও ৪ বছরের সাফিকে নিয়েই এই গল্প। গল্পে দেখা যাবে, পরিবার থেকে হঠাৎ করেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দুই ভাই-বোন। হারিয়ে ফেলে দীর্ঘদিনের বসতি। তাদের আশ্রয় হয় বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এই ক্যাম্প থেকে পরিবারকে খুঁজতে দুই শিশু মালয়েশিয়ায় যাওয়ার বিপদসংকুল পথও বেছে নেয়।

সিনেমাটি এর আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের ‘অরিজোন্তে’ শাখায় প্রদর্শিত হয়। সেসময় সিনেমাটি উৎসবের বিশেষ জুরি পুরস্কার জেতে। দুই শিশুর চরিত্রে অভিনয় করেছে মোহম্মাদ শফিক রিয়াস উদ্দীন ও সোমিরা রিয়াস উদ্দীন। পটভূমি বাংলাদেশের হলেও আইএমডিবি সূত্রে জানা যায়, সিনেমার শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডে।
একনজরে দেখে নেয়া যাক উৎসবের মূল পুরস্কারগুলো কারা পেল:
গোল্ডেন বেস্ট ফিচার ফিল্ম: ‘লস্ট ল্যান্ড’
সিলভার বেস্ট ফিচার ফিল্ম: ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’
জুরি পুরস্কার: ‘হিজরা’
সেরা পরিচালক: আমির ফাখের এলদিন (‘ইউনান’)
সেরা অভিনেতা: জর্জেস খব্বাজ (‘ইউনান’)
সেরা অভিনেত্রী: সেগিয়ুই জু-ইন (‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’)
সেরা চিত্রনাট্যকার: সিরিল আরিস (‘আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’)
সিনেমাটিক অ্যাচিভমেন্ট: ঝাং ঝংচেন (‘নাইটটাইম সাউন্ডস’)
সেরা সৌদি সিনেমা: ‘হিজরা’
সেরা অডিয়েন্স পুরস্কার: ‘মাই ফাদারস সেন্ট’