তমা মির্জার ব্যাংকক ভ্রমণ
অভিনয় জগতের সফল অভিনেত্রী তমা মির্জা সম্প্রতি নিজেকে সময় দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাংকক ভ্রমণে গিয়েছিলেন। দেশে ফিরে তিনি শেয়ার করলেন, এই সফর কেবল অবসর নয়, বরং নতুন অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তমা মির্জার ব্যাংকক ভ্রমণ তার অভিনয়ের বাইরে নতুন জার্নতাবলেও অভিহিত করেন।

তমা বলেন, “এইবারের ভ্রমণে আমি এমন জায়গায় গিয়েছি, যেখানে আগে কখনো যাইনি। হেরিটেজ স্পট, স্থানীয় আঞ্চলিক মার্কেট, নদীপথ, সবকিছুই নতুন এবং আনন্দময় ছিল। থাই ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ঘুরে বেড়ানো একদম ভিন্ন অভিজ্ঞতা। অভিনয়ের বাইরে নতুন কিছু শেখা আমার জন্য সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সেখানে উপস্থিত মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত অনুষ্ঠানও একদম অবিস্মরণীয়। মানুষের ভিড়, তাদের এনার্জি, সবকিছু আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষভাবে আমাদের বন্ধু তানজিয়া জামান মিথিলার পারফর্ম্যান্স আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত।”

তমা ভ্রমণকে একটি মানসিক রিফ্রেশ হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, “অভিনয়ে মানসিক চাপ শারীরিক পরিশ্রমের চেয়েও বেশি। চরিত্রে প্রবেশ, বের হওয়া , এ সব মিলিয়ে মন কখনো ক্লান্ত হয়। তাই নিজের জন্য সময় নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ভ্রমণ আমাকে পুনরায় কাজে ফিরে যেতে উদ্দীপনা যোগায়।”
ব্যাংককে তমা মির্জার নতুন বোধোদয়

অন্যদিকে, হঠাৎ ১১ বছর আগে তার শুটিং শেষ হওয়া একটি ছবি সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পেয়েছে। তমা এবিষয়ে বলেন, “শুটিংয়ের সময় আমরা সেই মুহূর্তে সেরাটা দিয়েছি। কিন্তু এত বছর পর মুক্তি পেলে দর্শকরা সমসাময়িক কাজের সঙ্গে তুলনা করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই ধরনের বিলম্ব শিল্পী এবং প্রযোজক উভয়ের জন্যই ক্ষতির কারণ।”
ভবিষ্যতের কাজ সম্পর্কে তমা বলেছেন, “হালনাগাদ কিছু স্ক্রিপ্ট হাতে আছে। মান, গল্প ও চরিত্র এই তিনটি দিকের কোনো আপস করি না। তাই সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। শুটিং না থাকা মানে অবসর নয়। পরিকল্পনা, মিটিং, গান শোনা, বই পড়া, রান্না সবই এখন সময় কাটানোর অংশ। একা থাকার মুহূর্ত আমাকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়।”
অপেক্ষার সঙ্গে তিনি ভবিষ্যতে ওপার বাংলায় কাজ করার সম্ভাবনাও উচ্ছ্বসিতভাবে জানালেন। তমা মির্জা বলেন, “‘দুই বন্ধু’ আমার কাছে অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে নিশ্চয়ই আবার কাজ করব।”