কড়াইল বস্তিতে ‘দেলুপি’ সিনেমার আয় যাবে
কিছুদিন আগে রাজধানী ঢাকার মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগে। ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে শতাধিক ঘর। নিঃস্ব হয়ে গেছে অসংখ্য মানুষ। বর্তমানে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই বললেই চলে। শত শত মানুষ এখন আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘর ও খোলা আকাশের নিচে থাকছেন। তবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দেলুপি’র সিনেমার টিম। ‘দেলুপি’ সিনেমার আজকের আয় যাবে কড়াইলে ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক ঘোষণার মাধ্যমে জানানো হয়েছে, দেশব্যাপী ‘দেলুপি’ সিনেমার সব শো’য়ের টিকিটের টাকার প্রযোজকের অংশের অর্থ প্রদান করা হবে কড়াইল বস্তিবাসীর কাছে।

কড়াইল বাসীর পাশে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে দেলুপীর নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম জানান, ‘কড়াইল বস্তিবাসীর পাশে দাঁড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। সেই সঙ্গে দর্শকদেরও শরিক করা। কেননা আজ যারা দেলুপি দেখবেন, তাদের টিকিটের টাকাটাই কড়াইল বস্তিবাসীর কাছে পৌঁছে দেব। ওই অর্থে যেসব দর্শকের আজকে ‘দেলুপি’ দেখার ইচ্ছা আছে, তারা দেখলে কড়াইলবাসীর পাশেও দাঁড়াতে পারবেন।‘
এদিকে ‘দেলুপি’ টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘দেলুপি’ সিনেমার আজকের আয় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পূরণের চেষ্টা নয়, বরং এটির মাধ্যমে তাদের সঙ্গে একাত্মতা। কড়াইল বস্তিবাসীর এই দুর্যোগে সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবানও জানিয়েছেন দেলুটিবাসী।
দেলুপি প্রথমে খুলনায় মুক্তি পায় ৭ নভেম্বর, এরপর ১৪ নভেম্বরে সারাদেশের পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
‘দেলুপি’ সিনেমার নামটি এসেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়ন থেকে। সেই অঞ্চলের মানুষের জীবন, বাস্তবতা ও সম্পর্ক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা লিখেছেন এই কাল্পনিক বাস্তবতার গল্প।
নির্মাতা তাওকীরের ভাষায়,“আমি সবসময় বাস্তব মানুষের গল্প বলতে চেয়েছি। ‘দেলুপি’ সেই চেষ্টারই আরেক ধাপ। প্রতিটি চরিত্র ও ফ্রেমে আমি মানুষের সত্যিকারের অনুভূতি ধরার চেষ্টা করেছি।”
তাওকীর এর আগে ২০২২ সালে রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্মাণ করেন ‘শাটিকাপ’, যা সমালোচক ও দর্শক উভয়ের মনোযোগ কাড়ে। পরে ২০২৪ সালে আসে ‘সিনপাট’। সেটিও আলোচনায় আসে দর্শকদের। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশন।