নতুন রানীকে স্বাগত জানিয়েছে মিস ইউনির্ভাস
অবশেষে সব জল্পনার অবসান। ‘মিস ইউনির্ভাস ২০২৫’ প্রতিযোগিতায় এবার সব আলো কেড়ে নিলেন মেক্সিকোর সুন্দরী ফাতিমা বশ। তার মাথায় উঠল বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট। মুহূর্তের বদলে গেল জীবনের সব সংজ্ঞা। ১২১ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে জিতে নেন মিস ইউনিভার্স ২০২৫ খেতাব। মিস ইউনিভার্সের মুকুট পরিয়ে দেন গতবারের বিজয়ী ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কিয়ের থেইলভিগ।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় থাইল্যান্ডে শুরু হয় মিস ইউনিভার্স ২০২৫–এর ফাইনাল। যেখানে কয়েকটি পর্ব পেরিয়ে ফাইনালে উঠে আসেন পাঁচ দেশের প্রতিনিধি। মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ড, মিস ইউনিভার্স ফিলিপাইন, মিস ইউনিভার্স ভেনেজুয়েলা, মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো ও মিস ইউনিভার্স আইভরিকোস্ট। এরপর বিচারকেরা সব প্রতিযোগীকে দুটি করে প্রশ্ন করেন। সে দুই প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত করা হয় মিস ইউনিভার্স ২০২৫।

ফাতিমা বশ কেন কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন?
থাইল্যান্ডে মূল পর্ব শুরুর আগে সবাইকে নিয়ে প্রিপ্যাজেন্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী যে দেশে মিস ইউনিভার্স অনুষ্ঠিত হয়, সে দেশের একটি প্রমোশনাল ভিডিও করতে হয় প্রতিযোগীদের। আনুষ্ঠানিক ফটোশুটের বাইরেও কিছু ছবি তোলা হয়। কিন্তু মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো তা সময়মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিতে পারেননি। যে কারণে মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ডের পরিচালক নাওয়াত ইতসারাগ্রিসিল তাকে সবার সামনে ‘ডাম্বহেড’ বলে কটাক্ষ করেন।

ঘটনার পর মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘একুশ শতকে এসে একজন নারী কখনোই হাতের পুতুল হয়ে থাকতে পারে না। যা ইচ্ছা তাই বলতে পারেন না কিংবা সাজাতে পারেন না। আমি এখানে এসেছি সব নারীর প্রতিনিধিত্ব করতে। আমাকে অসম্মান করা মানে পুরো নারী জাতিকে অসম্মান করা।’
ঘটনার পর তিনটি ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ক্ষমা চান সঞ্চালক। কিন্তু তাতে মন গলেনি মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষের। এ বছরই পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়া নাওয়াতকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ।

টপ থার্টিতেই থামলেন বাংলাদেশের মিথিলা
বিশ্বের অন্যতম এই মর্যাদাপূর্ণ আসরে অংশ নেন বাংলাদেশের তানজিয়া জামান মিথিলা। ১২২ দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে তীব্র লড়াই করে জায়গা করে নেন টপ থার্টিতে। তবুও এটি বাংলাদেশের জন্য এটি অনেক বড় অর্জন। ভোটে এগিয়ে থেকেও কেন থামতে হলো টপ থার্টিতে? মিস ইউনিভার্সের মতো আসরে কেবল দর্শকের ভোটই যথেষ্ট নয়। তারজন্য প্রতিযোগীকে পারফরম্যান্স, বুদ্ধিমত্তা, বাচনবঙ্গি ও বিচারকের চুলচেরা বিশ্লেষণ মূল ভূমিকা পালন করে। এসব মানদণ্ডেই নির্ধারিত হয় বিজয়ীদের তালিকা।