বিহারের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক নির্বাচিত হলেন সংগীতশিল্পী মৈথিলী
ইতিহাস গড়লেন তরুণ গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর। সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক নির্বাচিত হলেন সংগীতশিল্পী মৈথিলী । সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ভারতের বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন তরুণ সংগীতশিল্পী মৈথিলী ঠাকুর। আলিনগরে আরজেডি প্রার্থী বিনোদ মিশ্রকে ১১ হাজায়াও বেশি ভোটে হারান ২৫ বছর বয়সী মৈথিলী। তাতেই ইতিহাস গড়ে বর্তমানে বিহারের সবচেয়ে কম বয়সী বিধায়ক হয়েছেন সংগীতশিল্পী মৈথিলী।

এ নিয়ে বার্তাসংস্থা এএনআইকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মৈথিলী ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘এটা স্বপ্নের মতো। আমি আমার এলাকাবাসীর ঘরের মেয়ে হয়ে তাদের সেবা করব। আমি এই মুহূর্তে শুধু আলিনগরকেই দেখতে পাচ্ছি এবং কীভাবে সেখানে কাজ করব, সেই ভাবনাচিন্তা করছি।’
যেভাবে বিধায়ক হয়েছেন সংগীতশিল্পী মৈথিলী
নির্বাচনের অল্প সময় আগেই বিজেপিতে যোগ দেন মৈথিলী ঠাকুর। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের কাজে আমি মুগ্ধ। আমি এখানে সমাজের সেবা করতে ও বিহারের উন্নয়নে অবদান রাখতে এসেছি।
গেল ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর থেকেই মৈথিলীকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পরে বিহার বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিনোদ তাওড়ের সঙ্গে তার একটি ছবিও প্রকাশ্যে আসে, যা জল্পনাকে আরও উসকে দেয়। নিজের ‘এক্স’ অ্যাকাউন্টে তাওড়ে সেই ছবি পোস্ট করে মৈথিলীকে ‘বিহার-কন্যা’ উল্লেখ করে স্বাগত জানান। তার পর থেকেই অনেকে মনে করেছিলেন তিনি হয়ত হচ্ছেন আলিনগরের প্রর্থী। ঠিক তাই হয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ীও হলেন তিনি।
২৫ জুলাই ২০০০ সালে বিহারের মধুবনীতে জন্মগ্রহণ করেন মৈথিলী। তিনি বেড়ে উঠেছেন সংগীতসমৃদ্ধ পরিবারে। মৈথিলী তার বাবা ও দাদার কাছে শাস্ত্রীয় ও লোকসংগীতের পাঠ নিয়েছেন।
২০১১ সালে ভারতের জি টিভিতে প্রচারিত গানের প্রতিযোগিতা তথা টেলিভিশন ধারাবাহিক লিটল চ্যাম্পসে অংশ নেন তিনি। চার বছর পর, তিনি সনি টিভিতে প্রচারিত ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০১৬ সালে ‘আই জিনিয়াস ইয়ং সিঙ্গিং স্টার’ প্রতিযোগিতায় জেতেন। পরে তিনি প্রকাশ করেন ‘ইয়া রাব্বা’ (ইউনিভার্সাল মিউজিক) অ্যালবাম।
মৈথিলী জপুরি, হিন্দিসহ একাধিক ভাষায় গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ২০২৪ সালে মায়ের সঙ্গে গাওয়া তার একটি গান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও মুগ্ধ করেছে। সেইসূত্রে পরে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের সময়ও সেই গানটি গেয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়।