রুনা লায়লার উপন্যাস প্রকাশ ১৭ নভেম্বর
দেশের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। এবার সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা কে নিয়ে উপন্যাস লিখেছেন কথাসাহিত্যিক আবদুল্লাহ আল মুক্তাদির। উপন্যাসটির নাম ‘মায়ার সিংহাসন’। উপন্যাসের উপজীব্য সংস্কৃতিতে এই গায়িকার আর্বিভাব, সংগ্রাম ও বিবর্তন। আগামী ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত হচ্ছে গীতি উপন্যাস ‘মায়ার সিংহাসন।’
লেখক আবদুল্লাহ আল মুক্তাদির জানান, রুনা লায়লার কণ্ঠে যখনই গান শুনেছেন, মনে হয়েছে যেন সময় থেমে গেছে চারপাশে। শুধু সুর, মায়া ও স্মৃতির তরঙ্গ। সেই অনুভব থেকেই জন্ম নেয় ‘মায়ার সিংহাসন’। এটি কেবল জীবনীধর্মী উপন্যাস নয়; বরং এক ধরনের “গীতি-উপন্যাস”। যেখানে সুর, শব্দ আর মানবমনের অন্তর্লোক মিশে গেছে এক অদ্ভুত সুরভ্রমণে।
চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনের কর্ণধার জানিয়েছেন, ‘মায়ার সিংহাসন’ বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ধারা যোগ করবে। এটি এমন এক শিল্পিত উপন্যাস, যেখানে সংগীতই হয়ে উঠেছে মূল চরিত্র। বইটি শুধু রুনা লায়লার সংগীতজীবনের প্রতি শ্রদ্ধা নয়; বরং তাঁর সুরের মায়াজালকে সাহিত্যের পরতে পরতে ধারণ করবে। পাঠক এখানে খুঁজে পাবেন সুরের ভেতর লুকানো মনের গল্প। এক শিল্পীর একান্ত অনুভূতির ছোঁয়া এবং সেই চিরচেনা মায়া। যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছড়িয়ে থাকবে অম্লান স্মারক হয়ে।’

উপন্যাসটির বিষয়ে রুনা লায়লা এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “এই উপন্যাস আমাকে নিয়ে লিখেছে, আশা করি ভালো লাগবে। আপনারা পড়বেন।”
ক্যারিয়ারের প্রথম গানেই জনপ্রিয় রুনা লায়লা
১৯৬৪ সালের ২৪ জুন ‘জুগনু’ সিনেমার ‘গুড়িয়া সি মুন্নি মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ গান গেয়ে ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেন। এই সিনেমায় রুনা লায়লার বড় বোন দীনা লায়লাও প্লে-ব্যাক করেছিলেন। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৬৮ সালের ২৯ মার্চ। এরপর পাকিস্তানের আরও বহু সিনেমায় রুনা লায়লা প্লে-ব্যাক করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের আগেই রুনা লায়লা প্রথম বাংলাদেশের সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেন। প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয় গান ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গানটি। ১৯৭০ সালের ২৯ মে ‘স্বরলিপি’ সিনেমার এই গান লিখেছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। আর সুর করেছিলেন সুবল দাস। ঠোঁট মিলিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা ববিতা। প্রথম প্লে-ব্যাকেই ব্যাপক সাড়া ফেলেন রুনা লায়লা। বাংলাদেশের সিনেমার গানেও তার কণ্ঠের কদর বেড়ে যায়।
রুনা লায়লা বাংলাসহ হিন্দি, উর্দু, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, পশতু, আরবি, পারসিয়ান, মালয়, নেপালি, জাপানি, ইতালীয়, স্প্যানিশ, ফরাসি, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অর্থাৎ ১৮টি ভাষায় গান গেয়েছেন। রুনা লায়লা গানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিনশোরও বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।