প্রয়াত হলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক গৌতম ঘোষের সহধর্মিনী কাঁথা শিল্পী নীলাঞ্জনা ঘোষ । শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেছেন এক্স হ্যান্ডলে।
চিকিৎসকরা জানান, নীলাঞ্জনা ঘোষের হঠাৎ অ্যানিউরিজম দেখা দেয়, যার ফলে তাঁর শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এই জটিল পরিস্থিতির কারণে দ্রুত তার আটারিতে একটি জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় নীলাঞ্জনা ঘোষের মৃত্যুতে আমি শোকগ্রস্ত বোধ করছি। আমার বৌদি, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষের স্ত্রী, তিনি একটি কঠিন অস্ত্রোপচারের পর আজ সকালে প্রয়াত হন। তাঁর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল এবং আমি বিচলিত বোধ করছি।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘তিনি অনেক সামাজিক কাজ করতেন। আমরা জানতাম, তাঁর হাতের কাঁথা শিল্পের কাজ ছিল সুন্দর। সেসব কথা মনে পড়ছে। গৌতমদাকে সান্ত্বনা জানানোর কোন ভাষা আমার জানা নেই। তবু তাঁকে মন শান্ত রেখে তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করব। বৌদির কথা মনে রেখেই এই কাজ তাঁকে করতে হবে।’
বাংলার কাঁথা শিল্পকে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছিলেন নীলাঞ্জনা। ‘বাংলার কাঁথা’ নামে তিনি একটি বইও লিখেছেন। কাঁথার বুননের প্রতি নীলাঞ্জনার ভালোবাসা গড়ে উঠেছিল মা শ্রীলতা সরকারের কাছ থেকে। শ্রীলতা কাঁথা শিল্পকে ফিরিয়ে আনার অন্য়তম কাণ্ডারী ছিলেন। নীলাঞ্জনার কাছে কাঁথা ছিল ক্যানভাসের মতো। মনের মাধুরী মিশিয়ে নানা কল্পনাকে সুতোর বুননে গাঁথা তাঁর অন্যতম ভালোবাসা ছিল।