অস্কারের দৌড়ে সৌদি আরবের মনোনীত চলচ্চিত্র ‘হিজরা’
সৌদি চলচ্চিত্র জগতে নতুন গল্প বলার ধারা তৈরি করছেন পরিচালক শাহাদ আমীন। তাঁর নতুন ছবি ‘হিজরা’ এর মাধ্যমে নারীর অভ্যন্তরীণ অনুভূতি, সংগ্রাম ও আত্ম-অন্বেষণের গল্প তুলে ধরেছেন। এ বছরের একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে (অস্কার) আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে মনোনীত হয়েছে ছবিটি।
এই ছবির মাধ্যমে শাহাদ প্রমাণ করতে চেয়েছেন, সৌদি সিনেমা শুধু ধর্মীয় বা সামাজিক ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি মানুষের আবেগ, পারিবারিক বন্ধন এবং ব্যক্তিগত বিকাশের গল্পও হতে পারে।
ভিন্ন দৃষ্টিকোণের সৌদি গল্প:
‘হিজরা’ ছবিতে এক দাদী ও তার দুই নাতির হজে যাওয়ার যাত্রা দেখানো হয়েছে। কিন্তু যাত্রাপথে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা—এক নাতি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। বাকিরা তাকে খুঁজতে মরুভূমি পাড়ি দেয়, আর এই অনুসন্ধান রূপ নেয় এক আত্মিক যাত্রায়। ‘হিজরা’ ছবির শুটিং হয়েছে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল জেদ্দা, মদিনা, আলউলা ও নিয়োমসহ বিস্তৃত মরুভূমি এলাকায়। সিনেমা প্রথম প্রদর্শিত হয় এ বছরের সেপ্টেম্বরে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের ‘স্পটলাইট’ বিভাগে। সেখানে সিনেমাটি প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শক ও সমালোচকদের। ছবিটিতে সম্পূর্ণ সৌদি অভিনয়শিল্পীদের দেখা যাবে। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন খাইরিয়া নাসমি, জান্নার ভূমিকায় নবাগত লামার ফাদান এবং বিশেষ উপস্থিতিতে আছেন বারা আলেম।
নির্মাতা শাহাদ আমীন বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো অস্কারে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য গভীর গর্বের বিষয়। এটি সৌদি সিনেমার ইতিবাচক রূপান্তরের প্রতিফলনও বটে। ‘হিজরা’ আমার জীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট ছিল।’
নারীর চোখে সিনেমা
‘হিজরা’ সৌদি নারীর চোখে তৈরি এক আলাদা পৃথিবী। শাহাদ আমীন চান দর্শকরা সৌদি নারীদের শুধু আড়ালে থাকা চরিত্র হিসেবে নয়, বরং তাদের আবেগ, সিদ্ধান্ত ও শক্তির প্রতিফলন হিসেবেও দেখুকঅস্কারের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে নির্বাচিত ১৫টি ছবির সংক্ষিপ্ত তালিকা আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঘোষণা করবে একাডেমি।