ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মারধর ও ধর্ষণচেষ্টা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির সাক্ষ্যের ওপর আসামিপক্ষের জেরার জন্য আদালতে হাজির হয়েছেন পরিমনি। শ্লীলতাহানির অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী তিনি।
সোমবার সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৯-এ বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে হাজির হন তিনি। তবে অন্যান্য মামলার ব্যস্ততার কারণে জেরার সময় পিছিয়ে বিকেল ৩টায় নির্ধারণ করেন আদালত। পরিমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেন, পরীমনিকে জেরার দিন ধার্য রয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমিসহ চারজনকে আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমনি। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।
অপর দুই আসামি হলেন- তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এরপর ১৩ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর তৎকালীন বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।
পরে ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল নাসির ও অমির পক্ষে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষ।
এছাড়া অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর এ মামলায় পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এদিকে গত বছরের ২৪ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দিতে ইতস্ততবোধ করেন পরীমনি। তার আইনজীবী ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচারকাজ করার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় পরীমণির জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়।
২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ঢাকার অদূরের বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে যান পরিমণি। সেদিন রাতে সেখানে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পরীমণি। পরে ১৪ জুন নাসির ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।