দক্ষিণী সিনেমার নায়িকা রাশমিকা মান্দানার জনপ্রিয়তা এখন পুরো দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে। সিনেমার আলোচনার বাইরেও তিনি আলোচনায় আছেন অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণে। সরাসরি স্বীকার না করলেও তাদের সম্পর্কের বিষয়টা ‘ওপেন সিক্রেট’। তবে এরইমধ্যে ঘটল আরেক ঘটনা।
কাশ্মীরের পহেলগাম ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গতকাল শনিবার ক্ষমা চেয়েছিলেন অভিনেতা। রবিবার সকাল থেকে ফের আলোচনায় বিজয় দেবেরাকোন্ডা! তার চর্চিত প্রেমিকা রাশমিকা মান্দানাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামে আর অনুসরণ করছেন না তিনি। এ খবর প্রকাশ হতেই অবাক দুই অভিনেতার অনুরাগীরা। হঠাৎ এমন কী হল যে প্রেম ভেঙে গেল? প্রশ্ন উঠেছে ভক্তদের মনে।
ইনস্টাগ্রামে দেখা যায়, বিজয় কাউকেই ফলো করছেন না। এমনকী রাশমিকা মান্দানাকেও না। এর আগে ৩৫ জনকে অনুসরণ করতে দেখা গিয়েছিল বিজয়কে। কিন্তু হুট করে কোথা থেকে কী হয়ে গেল, বুঝতে পারছেন না কেউ।
অথচ দিন কয়েক আগেও তাদের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। সরাসরি মুখে স্বীকার না করলেও নেপথ্যের পটভূমিকা বলে দিচ্ছিল, কখনও তারা একই হোটেলে দুপুর বা রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করছেন। একই সঙ্গে ছুটি নিয়ে একই জায়গায় বেড়াতেও যাচ্ছেন!
নতুন বছরের শুরুতে বিজয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা করেন, তিনি আর ‘সিঙ্গেল’ নন। প্রেমিকার নাম না বললেও এর পরেই নায়িকাকে দেখা যায় বিজয়ের পরিবারের সঙ্গে দুপুরে একসঙ্গে সময় কাটাতে। একাধিক অনুষ্ঠানেও দুই পরিবারকে একসঙ্গে দেখা গেছে।
সবই কি তা হলে মিথ্যা? আশার কথা, নায়িকা এখনও নায়ককে সমাজমাধ্যমে অনুসরণ করছেন।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে খবরের শিরোনামে বিজয়। কখনও তিনি ভিকি কৌশল অভিনীত ‘ছাভা’ দেখে জানিয়েছেন, আওরঙ্গজেবকে তিনি কষিয়ে চড় মারতে চান! মারাঠাদের উপরে তার অত্যাচারের কারণেই অভিনেতার এই মন্তব্য, এ কথাও জানান তিনি।
এর পরেই তিনি তার আগামী ছবির প্রচার অনুষ্ঠানে গিয়ে পহেলগামে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। বিজয় বলেন, ‘পাকিস্তানকে আক্রমণ করার কোনও প্রয়োজনই মনে করে না ভারত। তার কারণ, পাকিস্তানের মানুষই নিজেদের সরকারকে নিয়ে বীতশ্রদ্ধ। পাকিস্তান তো ৫০০ বছর আগের আদিবাসীদের মতো আচরণ করে। কোনও উপস্থিত বুদ্ধি ছাড়াই ওরা যুদ্ধ করতে নামে’।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে অতীতে আদিবাসীদের ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের তুলনা করতেই তার প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করে বিশেষ সম্প্রদায়। অভিনেতার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। তার জেরে শনিবার অভিনেতা সমাজমাধ্যমে লিখিত বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। তার বক্তব্য, “আভিধানিক এবং ঐতিহাসিক অর্থে আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করেছি। কারণ, পৃথিবী এক সময় বিভিন্ন উপজাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল। তার সঙ্গে আজকের তফসিলভুক্ত জনজাতির কোনও সম্পর্ক নেই। এই তফসিল তৈরি করেছিল ইংরেজরা, যা মাত্র ১০০ বছর আগে তৈরি করা হয়’।