বাংলা ছবির প্রতিযোগিতা নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য প্রসেনজিতের
টলিউডে দীর্ঘদিন ধরে একাই ইন্ডাস্ট্রির ভার সামলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ‘বুম্বাদা’কে শ্রদ্ধা করেন সহকর্মী থেকে দর্শক সকলে। দুর্গাপুজোয় মুক্তি পাওয়া তার ছবি ‘দেবী চৌধুরানী’র সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল আরও কয়েকটি বড় বাজেটের ছবি। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিযোগিতা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রসেনজিতের স্পষ্ট বক্তব্য । জানালেন, ইতিবাচক মানসিকতা থাকলেই সাফল্য সম্ভব। তবে প্রতিযোগিতার এই চাপ একেবারেই নিতে দেখা যায়নি অভিনেতাকে। বরং বরাবরের মতোই নিজের অভিনয়ে মনোযোগী ছিলেন তিনি।

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবারো সেই প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গ টেনে আনেন প্রসেনজিৎ। তিনি জানান,
“আমার মনে হয় না আমাকে কেউ কোনও প্রতিযোগিতায় ফেলে। আমি এই সমস্ত প্রতিযোগিতায় থাকি না। যদিও একটা সময় ছিল যখন আমি এই প্রতিযোগিতায় সামিল হতাম” ।
ক্যারিয়ারের অতীত কঠিন বাস্তবতাও তুলে ধরেন তিনি। প্রসেনজিতের ভাষায়,“একটা সময় ছিল যখন আমি বাইরে কাজ করতে পারতাম না, হিন্দি ছবি করতে পারতাম না কারণ তখন আমার উপরেই সবাই নির্ভর করে থাকত। তখন প্রসেনজিতের ছবি মানেই হিট। পরিচালক, প্রযোজক এবং সব থেকে বড় কথা দর্শকদের আমার ওপর যে ভরসা ছিল তা ছেড়ে দিয়ে আমি কোথাও যেতে পারিনি।
তাঁর মতে, ইন্ডাস্ট্রিতে সফল হতে চাইলে প্রয়োজন ইতিবাচক মানসিকতা এবং আত্মবিশ্বাস। তিনি জানান, একসময় তিনি প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকেও কাজ করতেন, তবে এখন আর সেই চাপ নেন না। বরং নিজের অভিনয় ও কাজের মান উন্নত করার দিকেই মনোযোগ দেন সবসময়।
তিনি আরও বলেন,
‘আমাকে নায়ক নয় বরং সবাই মিলে আমাকে একটা প্রোডাক্ট করে তুলেছিল। যে ছবিতে প্রসেনজিৎ থাকবে সেই ছবি হিট হবে, আমিও অন্য কোথাও গিয়ে সেকেন্ড বেঞ্চে বসতে পারতাম না। আমাকে সবাই মিলে প্রথম করে দিয়েছিল, আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না অন্য কোথাও দ্বিতীয় স্থানে দাঁড়ানোর।’
বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে, কাজের পরিধিও বেড়েছে। হিন্দি ছবিতে কজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন
“এখন যখন আমি একটি ময়ূরাক্ষী করতে পেরেছি, অন্য স্বাদের ছবি করতে পেরেছি, যখন বুঝেছি যে আমি আর প্রতিযোগিতায় নেই তখন আমি একটা হিন্দি ছবিও করতে পেরেছি আবার একটি মালায়ালাম বা অন্য ভাষার ছবিও সাহস পেয়েছি। কিন্তু আগে সেই সাহস আমার ছিল না।”