‘আন্ধার’ সিনেমার মুক্তি আগামী বছর
মিউজিক থেকে সিনেমায় পা বাড়ালেন অর্থহীন ব্যান্ডের সাইদুস সালেহীন সুমন (বেজবাবা সুমন) এবং ব্যান্ড ক্রিপটিক ফেইটের ভোকাল শাকিব চৌধুরী। সিনেমাটির গল্পও লিখেছেন এই দুই ব্যান্ড তারকা। তাদের লিখা সেই গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরি করছেন আরেক জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী। এই সিনেমটি হতে যাচ্ছে বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা।
গেল আগস্টে প্রথম খবর বের হয়েছিলো ‘আন্ধার’ নামের একটি ভৌতিক সিনেমা নিয়ে আসছেন এই তিন তারকা। সে সময় জানা গিয়েছিল, সিনেমায় অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে সেসময় এ নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করেনি নির্মাতা রায়হান রাফি। অবশেষে গত সোমবার রাতে এক ফেসবুক লাইভে আন্ধার সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে।

আনুষ্ঠানিক সেই ঘোষণায় ভার্চুয়ালি একত্রিত হয়েছেন সিনেমার নির্মান, অভিনয় শিল্পী এবং কলাকুশলীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সিনেমাটি নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে আন্ধারের শুটিং শেষ হয়েছে।
এ নিয়ে নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’
পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গল্প শোনা
সিয়াম আহমেদও বলতে শোনা যায়, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’
সিনেমা নিয়ে কথা বলেছেন চঞ্চল চৌধুরীও। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’
সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা ‘আন্ধার’
সিনেমাটি নিয়ে প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তারা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’
২২১ বি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে তৈরি হবে সিনেমা ‘আন্ধার’। সিনেমাটি দুই ঈদ ছাড়া অন্য যেকোন সময়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।