৮ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে পাসপোর্ট রিনিউয়ালের অনুমতি দেওয়া হয় অভিনেতাকে। ২০১১ সালে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিনে মুক্ত থাকা অভিনেতার আবেদনের প্রেক্ষিতেই উচ্চ আদালত এই সিদ্ধান্তটি নেয়।
এর আগে অভিনেতাকে শুধু এক বছরের জন্যই পাসপোর্ট রিনিউয়ালের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। অনেক দেশেই ছয় মাসের বেশি পাসপোর্টের ভ্যালিডিটি না থাকলে ভারতীয় নাগরিকদের থাকার অনুমতি দেওয়া হয় না। আর তাই নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেন শাইনি।
জাস্টিস অমিত বোরকারের দ্বারা গঠিত সিঙ্গেল বেঞ্চের শুনানিতে বলা হয়, ২০১১ সালে জামিনের সময় অভিনেতার উপর যে শর্তগুলো আরোপ করা হয়েছিল, তা যথাযথভাবেই পালন করেছেন শাইনি। জামিনের পর থেকে ছয়বারের মত শাইনির পাসপোর্ট নবায়ন হয়েছে, তাই দেশ ছেড়ে পালানোর কোন সম্ভবনা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে উচ্চ আদালতের তরফ থেকে।শুনানিতে আরও বলা হয়, যদি অভিনেতা পাসপোর্ট অথরিটির কিছু শর্ত পূরণ করতে পারেন, তবেই পরবর্তী ১০ বছরের জন্য তার পাসপোর্ট নবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে অভিনেতার গৃহকর্মী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ২০১১ সালে মামলাটিতে দোষী প্রমাণিত হলে ‘গ্যাংস্টার’খ্যাত নায়ককে শাস্তি হিসেবে ৭ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল নায়ককে জামিন দেওয়া হলেও তার বিদেশ যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞাটি শিথিলও করা হয়। অভিনেতার আপিলের প্রেক্ষিতে ধর্ষণ মামলাটির শুনানি এখনও বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে।