২০২৩ সালে ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরান’ ।
‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ কেবল একটি ছবি নয় নির্মাতা মুহাম্মদ কাইউমের ২৫ বছরের স্বপ্ন
এবং পাঁচ বছরের সাধনার ফসল। হাওর অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষের জীবনসংগ্রামের গল্প পর্দায় তুলে আনতে মুহাম্মদ কাইউমকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে।
পুরো সিনেমার দৃশ্য ধারণের জন্য দিনের পর দিন হাওরে পড়ে ছিলেন নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা। মুক্তির তারিখ পেলেও হল পায়নি, সিনেমা হলের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন নির্মাতা সিনেমার নাম আর পোস্টার দেখে মুখের ওপর হল মালিকেরা জানিয়েছে, এটা তারা চালাতে পারবে না। নির্মাতার অনেক অনুরোধে মাত্র ২০২২ সালে কেবল ১ সপ্তাহের জন্য দেখানো হয় ছবিটি।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে নির্মাতা জানান, “আমার ছবিটি সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে তাতে আমি আনন্দিত, গর্বিত। এই পুরস্কার শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির না, আমার চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রাপ্তি এটি৷ এতো বছরের ধৈর্য্য ও পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। এখনো মনে পড়ে ছবিটা নিয়ে কতো প্রতিকূলতা পার করতে হয়েছে। মুক্তির আবেদন করার পরে, পরিবেশক সমিতি থেকে মুক্তির তারিখ দিয়ে দেয়। কিন্তু ছবিটা কোথায় মুক্তি পাবে, এ দায় দায়িত্ব কেউ নিতে চায়নি। সিনেমা হল মালিকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি।”
তিনি আরও বলেন, “সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শক, সমালোচক থেকে শুরু করে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি এবং আজকের এই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সব মিলিয়ে আমার এতো বছরের পরিশ্রমের অনেক সুন্দর উপহার।”