সাহস মোস্তাফিজ ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের পরিচিত নাম। তবে তার পাশাপাশি তার পরিচয় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে।
তিনি পেলেন অভূতপূর্ব একটি উপহার। পেলেন সঞ্জীব চৌধুরীর ব্যবহৃত একটি শার্ট। ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর সঞ্জীব উৎসবে পারফর্ম করার পর আকলিমা নাসরীন লিপি তার হাতে এই উপহার তুলে দেন।
প্রয়াত সাংবাদিক গীতিকার সঞ্জীব চৌধুরী তার লেখা ও শব্দের কারণে জনপ্রিয় তার ভক্তদের কাছে। তার প্রয়াণের পর থেকে জন্মদিনে তাকে স্মরণ করে আসছে তার ভক্তরা। প্রতিবারের মত ২০২৩ সালে ছিল এর দ্বাদশ পর্ব। যেখানে কাব্যিক এক আয়োজনে পারফর্ম করেন সাহস মোস্তাফিজ। তাতে সকলেই উপভোগ করেছেন ‘সঞ্জীব’য়ের আমেজ নতুনভাবে।
এর পরেই সঞ্জীব চৌধুরীর শিল্পী নাসরীনের ছোট বোন আকলিমা নাসরীন লিপি তাকে এই উপহার তুলে দেন।
সাহস জানান, এই মুহুর্তে আমার শেখ রানা ভাইয়ের লেখা ধার করতে ইচ্ছে করছে-
“সুতির হাফ হাতা শার্ট, গ্যাভাডিন কাপড়ের প্যান্ট আর স্যান্ডেল। সঞ্জীব দা’র চিরাচরিত অবয়ব। অথচ ঝাকড়া চুলের মানুষটা যখন কথা বলতেন বা রসিকতা করতেন, টের পাওয়া যেতো পান্ডিত্য। বোঝা যেতো রাজনীতি থেকে শুরু করে মোটামুটি তাবৎ বিষয়ে পড়াশোনা জানা একজন মানুষকে। একজন বোহেমিয়ান মানুষকে… আমার খুব ইচ্ছে, একদিন এই মানুষটার রেখে যাওয়া একটা হাফ হাতা শার্ট গায়ে দিয়ে ক্রমশ অচেনা হয়ে যাওয়া এই শহরে হেঁটে বেড়াবো। উদ্দেশ্যহীন। প্রিয় সঞ্জীব’দা, কান্নার রং আর জোছনার ছায়ায় আপনার হাসি মিশে আছে। সেই জোছনার ছায়ায় খোলা আকাশের নীচে স্মৃতির বৃক্ষ থেকে যাক অবিচল। লিপি আপা, আপনি আমাকে জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এওয়ার্ড দিয়েছেন।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ (ডিইউসিএস) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটির সহযোগিতায় ‘দ্বাদশ সঞ্জীব উৎসব’ আয়োজন করেছে ‘আজব কারখানা’ ও ‘সঞ্জীব উৎসব আয়োজন পর্ষদ’। অনুষ্ঠানে আরও গান পরিবেশন করেন লিমন, জয় শাহরিয়ার, মুয়ীজ মাহফুজ, সন্ধি, আহমেদ হাসান সানি, সুহৃদ স্বাগত, শতাব্দী ভব, অর্ঘ্য, ঘুণপোকা, রাজেশ মজুমদার ও রাশেদ।