বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অভিনেত্রী শমী কায়সার। এবার সেই মামলায় অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন তিনি।
১০ ডিসেম্বর সকালে একটি দ্বৈত বেঞ্চ শমীর জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন বলে জানা গেছে।
নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন শমী। ঐ আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ ডিসেম্বর তাকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন।
আদালতে আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ জামিন আবেদনকারী শমীর পক্ষে শুনানি করেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাজিয়া কবির। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার।
হাইকোর্ট থেকে শমীর অন্তবর্তীকালীন জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হামিদুল মিসবাহ। তিনি জানান, বর্তমানে শমী আছেন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে। অন্য কোনো মামলা যদি না থাকে, তাহলে অভিনেত্রীর কারামুক্তিতে আর আইনগত কোনো বাধা নেই।
উল্লেখ্য যে, ৬ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে শমীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একে একে গ্রেপ্তার হতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার হন অভিনেত্রী শমী কায়সারও।
সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে ৯ অক্টোবর মামলা হয়েছিল শমীর বিরুদ্ধে। মামলাটি করেন ভুক্তভোগী নিজেই। শমী কায়সার ছাড়াও একই মামলার আসামি তালিকায় আরও আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ প্রমুখ।