৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ‘সেন্সর বোর্ড’ পুনর্গঠন এবং পরবর্তীতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে নাম পরিবর্তন করে ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন- দুই কমিটিতেই সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন নির্মাতা খিজির হায়াত খান। তবে নভেম্বরে এসেই সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। কারণ হিসেবে নির্মাতা জানিয়েছিলেন সম্পূর্ন ব্যক্তিগত কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নির্মাতা খিজির হায়াত খান নিশ্চিত করেন যে তিন সপ্তাহ আগে স্বেচ্ছায় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে নিজের পদ ছেড়ে এসেছেন।
‘বাক এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার’ জন্য সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে নির্মাতা লেখেন, ‘সরকারি পদে থাকা মানে এই নয় যে, মনের কথা এডিট করে বলতে হবে। সেই জন্য হাজারো মানুষ ২৪ শে আসিয়া আবারও প্রাণ দেয় নাই, আহত হয় নাই, আর যদি তাই নিয়ম হয় তবে সেই নিয়ম আমি মানিনা। কোন পদ পদবীর জন্য নিজেকে বদলাইতে এই বয়সে আর পারবো না, সেই সুশীল আমি হইতে চাই না। খুশির সংবাদ এই যে এই সকল কিছু বিবেচনা করিয়া ব্যক্তিগত কারণে আজ হইতে ৩ সপ্তাহ আগেই আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড হইতে স্বেচ্ছায় নিজের পদ ছাড়িয়া আসিয়াছি। আমার বাক এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা আমার কাছে সবচাইতে দামি।’
যদিও বিষয়টি নিয়ে সরাসরি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেননি তিনি।
তবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. মঈনউদ্দীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘খিজির হায়াত খান, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
উল্লেখ্য, গেল ২২ সেপ্টেম্বর প্রথমে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হয়। বর্তমানে এ বোর্ডে রয়েছেন নির্মাতা কাজী হায়াত, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র গবেষক ড. জাকির হোসেন রাজু, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক, লেখক ও সংগঠক জাহিদ হোসেন, চলচ্চিত্র সম্পাদক ইকবাল এহসানুল কবির ও চলচ্চিত্র পরিচালক তাসমিয়া আফরিন মৌ প্রমুখ।