মুসলিম জাতির কলঙ্ক : নুসরাতকে আক্রমণ
টালিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মুখে পড়েছেন। ১৬ আগস্ট, জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করায় অভিনেত্রীকে লক্ষ্য করে কটাক্ষের ঝড় ওঠে। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, “মুসলিম হয়ে হিন্দু উৎসবে অংশ নিলেন কেন?” কেউ লিখেছেন, “ মুসলিম জাতির কলঙ্ক ” আবার কেউ লিখেছেন, “এত ঘটা করে ইদে তো দেখি না আপনাকে।”
নুসরাতের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, তিনি ছাইরঙা শাড়ি পরে পুজার ঘরে বসে আছেন। পাশে লাল কাপড়ে সাজানো শ্রীকৃষ্ণের প্রতিমা, দোলনা এবং ভোগের থালা রাখা হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়, আর সেখানে উঠে আসে কুরুচিকর মন্তব্য।
তবে নুসরাত এসব ট্রোলিংয়ে কখনো একেবারেই প্রতিক্রিয়া দেখাননি। আগেও তিনি সিঁদুর খেলায় অংশগ্রহণ বা দশমীতে সিঁথিতে সিঁদুর পরা নিয়ে প্রচুর কটাক্ষের মুখোমুখি হয়েছেন। তবু তিনি তার স্বতন্ত্র স্টাইল বজায় রেখেছেন এবং সব ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা দেখানোর বার্তা দিয়ে চলেছেন।
নুসরাত জাহান প্রমাণ করেছেন, ব্যক্তিগত বিশ্বাসের সঙ্গে সমাজের কটাক্ষের মধ্যে পার্থক্য রেখেই নিজেকে প্রকাশ করা সম্ভব। তার এই ধৈর্য এবং নীরব প্রতিক্রিয়া ভক্তদের কাছে অনুপ্রেরণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই তার সাহসী মনোভাবের প্রশংসা করেছেন।
এবারকার ট্রোলিং প্রমাণ করল, সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা এবং অনুসরণকারী সংখ্যা যত বেশি, ততই ব্যক্তিগত কাজের প্রতি সমালোচনা বেড়ে যায়। কিন্তু নুসরাত তার কাজের প্রতি দৃঢ় এবং নিজের পছন্দ অনুযায়ী জীবনযাপন করে যাচ্ছেন। জন্মাষ্টমী উদযাপনের ছবি শুধু তার ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং সাংস্কৃতিক গ্রহণযোগ্যতাকেই দেখায় না, বরং এটি তার ভক্তদের কাছে মানবিকতার বার্তাও পৌঁছে দেয়।
টালিউডে নুসরাত জাহানকে শুধুই অভিনেত্রী হিসেবে নয়, বরং সাহসী এবং নিজস্ব মত প্রকাশকারী ব্যক্তি হিসেবেও চিনে। তিনি প্রতিনিয়ত দেখিয়ে আসছেন, কিভাবে সামাজিক সমালোচনা ও ট্রোলিংয়ের মুখে স্থির থাকতে হয়। তার এই দৃষ্টান্ত নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে।