মাসখানেক আগে মুক্তি পেয়েছিল আমির খানের ‘সিতারে জামিন পার’। ব্ক্স অফিসে ভালো আয়ও করেছে তবে সিনেমা হিটের জন্য মিথ্যা বলতে হয়েছিল অভিনেতাকে। মিথ্যাটি ছিল ‘সিতারে জামিন পার’ ইউটিউবে মুক্তি পাবে না বলেছিলেন তিনি কিন্তু সম্প্রতি তা মুক্তি পেয়েছে। যার কারণে ক্ষমাও চাইলেন আমির।
আমির বলেন, ‘আমি হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছি, কিছু মানুষকে আমি মিথ্যা বলেছিলাম যে আমার ছবি (সিতারে জমিন পর) ইউটিউবে মুক্তি পাবে না। আমি এটা বলেছিলাম, কারণ, আমার কিছুই করার ছিল না। আমি চেয়েছিলাম থিয়েটারের ব্যবসাকে রক্ষা করতে, তা না হলে আমার স্বপ্ন ওখানেই ধূলিসাৎ হয়ে যেত। সিনেমা দিয়েই আমার শুরু আর সিনেমার প্রতি আমি অত্যন্ত অনুগত। তাই আমি সব সময় থিয়েটারের ব্যবসাকে রক্ষা করার চেষ্টা করব। এটা আমাদের প্রথম প্রয়াস ছিল, তাই বাধ্য হয়ে আমাকে মিথ্যা বলতে হয়েছিল। আমার প্রযোজনা সংস্থা প্রযোজিত আগামী সব ছবি প্রথমে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে, তারপর ইউটিউবে “পে-পার-ভিউ” মডেলে দেখা যাবে”—গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আমির হাত জোড় করে সবার উদ্দেশে ক্ষমা চেয়ে আবেগপ্রবণ কণ্ঠে কথাগুলো বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আমির জানান যে ভারতের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ মানুষ সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখেন। তার ভাষ্যে, ‘ইউপিআই আসার পর ডিজিটাল পেমেন্ট ভারতীয়দের জন্য অনেক সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। তাই আমি মনে করি যে ডিজিটাল মাধ্যমে আসার জন্য এটা সঠিক সময়। আমার মতে, ইউটিউব এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যা সবাই ব্যবহার করেন। যেকোনো ডিভাইসে এটা চালানো যায়। এক দিনে প্রায় ৫৫ কোটি ভারতীয় ইউটিউব ব্যবহার করেন। তাই আমার মনে হয়েছিল যে ইউটিউবে এলে আমি আমার কাহিনি সব জায়গায় দেখাতে পারব। আর ইউপিআইয়ের সাহায্যে সব ভারতীয় সহজে এর পেমেন্ট করতে পারবেন।’
আমির জানান যে কিছুদিন পর থেকে ‘আমির খান প্রোডাকশন’ প্রযোজিত প্রায় সব ছবি তার ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে। এমনকি নবীন নির্মাতাদের ছবিও এই চ্যানেলে মুক্তি দিবেন তিনি। আমিরের চ্যানেল সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক নয়, “পে-পার-ভিউ”ভিত্তিক। ১০০ রুপির বিনিময়ে ছবি দেখা যাবে।
আমির বিভিন্ন সময় বলেছেন যে সিনেমার ব্যবসার ক্ষতির পেছনে ওটিটির অনেক বড় ভূমিকা আছে। তাই তিনি ওটিটি থেকে দূরে সরে আসতে চেয়েছেন। এই চাওয়ার কারণেই ওটিটির “সাবস্ক্রিপশন মডেল” বাদ দিয়ে ইউটিউবে “পে-পার-ভিউ” মডেলে আসছেন আমির।
আমির আরো বলেন, ‘সাবস্ক্রিপশন মডেল আমার পছন্দ নয়। আমার কাজ আর দর্শকের প্রতি আমার আস্থা আছে। আমার কাজ ভালো হলে মানুষ প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে তা দেখবেন, পরে আবার তা ইউটিউবে দেখবেন। আমার মনে হয় সাবস্ক্রিপশন মডেল সিনেমার ক্ষতি করছে। কিছু সময় পর ইন্ডাস্ট্রিতে এর প্রভাব বাজেভাবে পড়বে। তাই আমি এখানে ছবি মুক্তি করার প্রস্তাব নাকচ করেছি।‘