রবিবার ১৭ আগস্ট, ১০৩ বছর বয়সে মারা গেছেন আইকনিক জেমস বন্ড সিরিজের ০০৭ এর লোগো ডিজাইনার জো ক্যারফ। জেমস বন্ড ছাড়াও তিনি ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’, আ হার্ড ডে’স নাইট’ এবং ‘লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস’, ‘ম্যানহাটন’ এবং ‘রোলারবল-এর টাইপোগ্রাফি ডিজাইন করেছিলেন।
তার ছেলে পিটার এবং মাইকেল ক্যারফ দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন যে, ক্যারফের জন্মদিনের একদিন আগে ম্যানহাটনে তার বাড়ির হসপিস কেয়ারে তার মৃত্যু হয়।
ক্যারফ রিচার্ড অ্যাটেনবরোর আ ব্রিজ টু ফার (১৯৭৭), ভলকার স্ক্লোনডর্ফের ডেথ অফ আ সেলসম্যান (১৯৮৫), জিন স্যাক্সের ব্রাইটন বিচ মেমোয়ার্স (১৯৮৬) এবং মার্টিন স্কোরসেসের দ্য লাস্ট টেম্পটেশন অফ ক্রাইস্ট (১৯৮৮) এর মতো চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী শিরোনামের সিকোয়েন্সও তৈরি করেছিলেন তিনি।
উডি অ্যালেনের প্রায় এক ডজনেরও বেশি ছবির পোস্টার বানিয়েছেন ক্যারফ। এছাড়াও ‘ওহ ড্যাড, পুওর ড্যাড’, মাম্মার হাং ইউ ইন দ্য ক্লোসেট অ্যান্ড আই অ্যাম ফিলিন’ সো স্যাড (১৯৬৩), আ ফিস্টফুল অফ ডলারস (১৯৬৪), ফর আ ফিউ ডলারস মোর (১৯৬৫), টু লেট দ্য হিরো (১৯৭০), টেল মি দ্যাট ইউ লাভ মি, জুনি মুন (১৯৭০), ক্যাবারে (১৯৭২), অ্যান আনম্যারিড ওম্যান (১৯৭৮) এবং গান্ধী (১৯৮২) ছবিরও পোস্টার করেছিলেন তিনি।
এছাড়াও, ক্যারফ ওরিয়ন পিকচার্সের জন্য লোগো এবং শিরোনাম স্বাক্ষর, ডেকা রেকর্ডসের জন্য বেশ কয়েকটি অ্যালবামের কভার এবং এবিসির অলিম্পিক কভারেজের জন্য লোগো (নেটওয়ার্কের বৃত্তাকার অক্ষর এবং পাঁচটি অলিম্পিক রিং একসাথে সংযুক্ত), এবিসি নিউজ এবং ২০/২০ (চশমার মতো স্টাইল করা) ডিজাইন করেছিলেন।
তিনি তার কাজে সবসময় একটি জিনিস রাখতেন তা হল “উজ্জ্বলতা”। তিনি ২০২২ সালের টিসিএম ডকুমেন্টারি ‘বাই ডিজাইন: দ্য জো ক্যারফ স্টোরি’-তে বলেছিলেন। “আমি চাই এগুলো জীবন্ত থাকুক, নিষ্ক্রিয় না”
জেমস বন্ড সিরিজের ০০৭ এর লোগো তৈরির কথা স্মরণ করে ক্যারফ বলেন, ‘ইউনাইটেড আর্টিস্টসের নির্বাহী ডেভিড চ্যাসম্যান আমাকে বলেন, আমি (ডেভিড) লোগোর উপরে একটু সাজসজ্জা চাই। আমি (ক্যারফ) জানতাম বন্ডের পদবী ছিল 007, এবং যখন আমি বানানো শুরু করলাম, তখন ০০৭ কে আমার আমার কাছে বন্দুকের হাতলের মতো দেখাচ্ছিলো। এটি আসলে স্বতঃস্ফূর্ত ছিল, কোনও প্রচেষ্টা ছিল না, এটি ছিল সৃজনশীলতার একটি তাৎক্ষণিক ঘটনা।‘
জোসেফ ক্যারফ ১৯২১ সালের ১৮ আগস্ট নিউ জার্সির লিন্ডেনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।