দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম অ্যান্থলজি সিরিজ নিয়ে আসছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। হ্যালোইন উপলক্ষে আগামী ৩০ অক্টোবর ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ দিয়ে দর্শকদের ৩ রকম বাংলা ভয়ের স্বাদ দিতে যাচ্ছেন তিনি!
‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজ দিয়ে ৩ সপ্তাহের ৩ পর্বে দর্শকদের জন্য দেশি খাবারের সঙ্গে পরিমাণমতো ভূত নিয়ে আসছেন মোশাররফ করিম। সিরিজটির প্রথম পর্ব ‘বোয়াল মাছের ঝোল’। আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজের চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন কাজী আসাদ। শরীফুল হাসানের ছোট গল্প থেকে সিরিজটির চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা। নামের মধ্যেই সিরিজটির রহস্য লুকিয়ে আছে। গল্পের যোগাযোগ আছে খাবারের সঙ্গে। লেখকের ‘খাসির পায়া’ ছোট গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘খাসির পায়া’ পর্ব, ‘নো এক্সিট’ গল্প থেকে নির্মাণ করা হয়েছে ‘হাঁসের সালুন’ আর ‘বোয়াল মাছের ঝোল’ পর্বটি নির্মিত হয়েছে ‘খাবার’ নামের ছোট গল্প থেকে।
মোশাররফ করিম বলেন, ‘সিরিজে আমার চরিত্রগুলোতে দেখা–অদেখার মিশ্রণ রয়েছে। চরিত্রগুলোর কিছু বৈশিষ্ট আমাদের আশেপাশের মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়। আবার কিছু বৈশিষ্ট অদেখা। কিছু বিষয় আছে বাইরে থেকে বোঝা যায়। কিন্তু তার মনের মধ্যে যা চলছে, সেটি বোঝার উপায় থাকে না, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব থাকে। এমন বিষয় আনতে হয়েছে সিরিজটির অভিনয়ে। এসব ক্ষেত্রে আমি আমার নিজের অনুভূতি–চিন্তা কাজে লাগিয়েছি। আর কিছু অবজারভেশন তো থাকেই।’
কাজী আসাদ জানান, ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজে দর্শক নানা রকম ঘরানার মিশেল পাবেন। গল্পে সাইকোলজিক্যাল হরর, ফ্যান্টাসি, থ্রিলার ও মিথলজির মিশ্রণ রয়েছে। তিনটি গল্পে তিনভাবে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে। অভিনেতা জানান, খাবারের নাম দিয়ে যে এমন সব গল্প হতে পারে এটা তার ভাবনাতেই ছিল না। তার দাবি, দর্শকরা সিরিজটি দেখে বিস্মিত হবেন।’
উল্লেখ্য, ৯ জুলাই ’আধুনিক বাংলা হোটেল’ প্রজেক্টে চুক্তিবদ্ধ হন মোশাররফ করিম। দুই মাস বিভিন্ন লোকেশন হয় এর শুটিং। সিরিজটির বিভিন্ন পর্বে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিল্পী সরকার অপু, একে আজাদ সেতু, নিদ্রা নেহাসহ অনেকে।