কচি কণ্ঠ আসর ১৯৭৬ সাল থেকে প্রায় ৫ যুগ ধরে বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে। কচি কণ্ঠ আসরের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিশু সংগঠক ও আমেরিকা প্রবাসী জনাব হেমায়েত হোসেনের দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ পর দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ২৬ জুন গুলশানের সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনালে সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনের সকল সদস্য, পৃষ্টপোষক এবং শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি আসরের সভাপতি সাবেক সচিব শফিক আলম মেহেদীর শুভেচ্ছা বক্তব্য ও নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির ২৫ জন সদস্য-এর পরিচয় দিয়ে শুরু হয়। এদিন স্মরণ করা হয় সংস্থাটির প্রাক্তন সভাপতি তৎকালীন ইত্তেফাক গ্রুপের জিএম এবং সাপ্তাহিক পূর্বানী’র সম্পাদক খোন্দকার শাহাদাত হোসেন, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সানাউল্লাহ নূরি, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, লেখক এবং সাবেক মন্ত্রী ড. মীজানূর রহমান শেলী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আমিনুল ইসলাম প্রমুখকে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় কচি কণ্ঠ ও কচি কণ্ঠ ফাউন্ডেশনের ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে আত্মস্থ করার পাশাপাশি জনাব হেমায়েত হোসেনকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে সংগঠনের মহাসচিব জনাব মোঃ কাইয়ুম খাঁন ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম, ফেনী- ৩ আসনের সংসদ সদস্য লেঃ জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, রেবা রহমান, ফরিদা হেনা, বিটিআরসি-এর সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, জাতীয় ফুটবল টিমের সাবেক অধিনায়ক জনাব কায়সার হামীদ, সংগীত শিল্পী মাকসুদুল হক, ফেরদৌস ওয়াহিদ, সংস্থাটির সহ সভাপতি হিসেবে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী (অবঃ), সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল, টার্ক পরিচালক এ.কে.এম লুৎফুর রহমান, রাজউক উপ সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি শেষে কেন্দ্রীয় কচি কণ্ঠের আসরের সাথে বিভিন্ন সময় যুক্ত বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।