নকশীকাঁথার জমিন সিনেমায় আছেন দুই ভাইয়ের একজন। হয় সৌম্য জ্যোতি বা দিব্য জ্যোতি! কিন্তু কে যে আছে, তা এক ঝলকে দেখে বের করা মুশকিলই বটে। হুবুহু দেখতে একরকম দুই ভাই। শাহনুজ খুশি ও বৃন্দাবন দাসের জমজ সন্তান। চুটিয়ে অভিনয় করছেন পর্দার সামনে। একাধিক সিনেমাসহ ডিজিটাল প্লাটফর্মে অভিনয় করা শুরু হয়েছে তাও হয়ে গেল বহু দিন।
কিন্তু প্রশ্ন ঐ একই। আকরাম খান পরিচালিত নকশীকাঁথার জমিন সিনেমায় অভিনয় করেছেন কে? দিব্য নাকি সৌম্য। উত্তর হলো- সৌম্য। ইংরেজি সাহিত্যে পড়া সৌম্যকে আকরাম খান সিনেমায় নিয়েছিলেন বেড়াতে গিয়ে। পারিবারিক এক ভ্রমণে বন্ধু হিসেবে ছিলেন সাথে পরিচালক। আর সৌম্য সেই ভ্রমণে পদ্মা নদী দেখে দিলেন ঝাঁপ। সেই ঝাঁপ দেখে পর্দার ‘সাহেব আলী’ হয়ে গেলেন সৌম্য। কিন্তু দুই ভাই যখন একসাথে থাকেন তখন বোঝাই দায়, কোন জন আকরাম খানের পর্দার সাহেব আলী। সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনীতে সৌম্য সবাইকে হেসে নিজের কথাই বলেন- আমিই সাহেব আলী। তখন প্রশ্ন উঠতেই পারে-এই এতো মিলে তবে অমিল কোথায়?
তারা দুই ভাই জানান, তাদের এক জনের ফোন আরেকজনের ’ফেইস’ দেখালে খুলে যায়, একজনের কাজের জন্য আরেকজন দর্শকের কাছ থেকে বিভিন্ন কথা শোনেন। এমন কী কাজের জন্য কে নির্বাচিত হবেন- এ নিয়েও নির্মাতারা অথৈ সাগরে পড়ে যান।
তবে অমিল আছে। সেটা দিব্য জানালেন। মিনিট খানেকের বড় বলে এই দ্বায়িত্বটাও হয়তো তার। কিভাবে খুঁজে নেওয়া যাবে- কে দিব্য আর কে সৌম্য? আর তা হলো – কণ্ঠস্বর।
দিব্য বলেন, বড় হতে হতে শুধুমাত্র কণ্ঠের তারতম্য বোঝা যায়। তাও খুব লক্ষ্য করলে। তবুও একটা তো সুত্র পাওয়া গেল!
কিন্তু তাই বলে কী দুই ভাই একই রকম দেখতে বলে মজা করবেন না? দিব্য সৌম্য হেসে বলেন- সেই মজা তো করতেই হবে। তবে কাজের জন্য একটু পার্থক্য মনে করিয়ে দিলে যার কাজ , তার জন্য ভালো হবে বলে আমার মনে করি।