Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৫, ২০২৫

চিত্রনায়িকা মালাইকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

অভিনেত্রী মালাইকা আরোরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ২০১২ সালের একটি মামলার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাকে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি তা এড়িয়ে গেছেন। সেইজন্যই এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের কোলাবা এলাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে এনআরআই শিল্পপতি ইকবাল শর্মার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে অভিনেতা সাইফ আলি খান, শিল্পপতি বিলাল আমরোহি এবং মালাইকার ভগ্নীপতি শাহিল লাদাখের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মালাইকাকে।

১৩ বছরের পুরোনো সেই মারপিটের মামলা আবারো উঠেছে আদালতে। মামলার ঘটনার সাক্ষী হিসেবে গত ২৯ মার্চ আদালতে নিজের বয়ান দেন মালাইকা অরোরার বোন ও অভিনেত্রী অমৃতা অরোরা।

অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা | ছবি: ফেসবুক

অমৃতা তার বয়ানে বলেন, ‘আমরা হইহই করে রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ সারছিলাম, হঠাৎই এক ব্যক্তি এসে চিৎকার করে বলে- ‘চুপ করো!’ আমরা সবাই তাতে স্বাভাবিক ভাবেই চমকে যাই। সাইফ তখনই উঠে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন’।  

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ব্যক্তির সাথে শান্ত স্বরে কথা বলার চেষ্টা করেন সাইফ, কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে যান ইকবাল নামের সেই ব্যক্তি’।

যদিও অমৃতা বা সাইফ কেউই বুঝতে পারেননি, ওই ব্যক্তি তাদের কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন, আর এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।

বয়ানে বলা হয়, ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে চলে যান, আর তাদের ডিনার স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে। তবে, কিছুক্ষণ পর সাইফ যখন ওই রেস্তোরাঁর ওয়াশরুমে যান, তখন হঠাৎই তারা একাধিক উঁচু গলায় তর্কাতর্কির আওয়াজ শুনতে পান, যার মধ্যে সাইফের গলাও ছিল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই, সেই ব্যক্তি আচমকা তাদের ব্যক্তিগত জায়গায় ঢুকে সাইফের গায়ে হাত তোলেন।

সাইফ আলী খান | ছবি: ফেসবুক

সাইফের দাবি, ওই এনআরআই ব্যবসায়ী ইকবাল শর্মা তাদের টেবিলে এসে নারীদের উত্ত্যক্ত ও গালিগালাজ করেন। আর সে থেকেই শুরু হয় এই দ্বন্দ্ব।

২০১৪ সালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। মামলা হয় সাইফ আলি খান, শাকিল লাদাখ এবং বিলাল আমরোহির বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে ইচ্ছাকৃত আঘাত করার অভিযোগে মামলা হয় সাইফ আলি খানের বিরুদ্ধে। পরে সেশন আদালতের দ্বারস্থ হন সাইফ আলি খান। তবে ২০১৯ সালের তার মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।

এরপর ২০২৩ সালে সাইফ আলি খানকে বেকসুর খালাস করে আদালত। তবে বিচার শেষ হওয়ার আগে এবং বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায়দানের পূর্বে বিশেষ নজর রয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের উপর। সেই কারণেই তলব করা হয় মালাইকা অরোরাকে।

Share this article
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read next

এরপর থেকে বাংলাদেশ এভাবেই চলবে- সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকী

আজ বাংলা বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ বাংলা নববর্ষ । এবারের উৎসবে বেশ আনন্দ উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। দিনটি…
Exit mobile version