অল্প বয়সেই অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করে জনপ্রিয়তা পান ৮০-৯০ দশকের ফ্যাশন আইকন, সাহসী অভিনেত্রী সোনম খান। সে সময় তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। একাধিক হিট সিনেমা, সাহসী দৃশ্য এবং অনবদ্য স্টাইল স্টেটমেন্ট তাকে এনে দেয় আলাদা মাত্রার পরিচিতি।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে অভিনয়জগতে পা রাখেন সোনম। যদিও জন্মনাম ছিল বখতাওয়ার খান, তবে কিংবদন্তি পরিচালক যশ চোপড়ার ইচ্ছাতেই বদলে যায় তার নাম—হয়ে ওঠেন ‘সোনম’। এই নামটিই পরবর্তীতে হয়ে দাঁড়ায় তার বলিউড পরিচয়ের চাবিকাঠি।
তবে একটি সিনেমায় তাকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে করানো হয় নগ্ন দৃশ্য। যে ঘটনা পরবর্তীতে প্রকাশ করেছিলেন সোনম।
১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মিট্টি অউর সোনা’ সিনেমাতে সাহসী দৃশ্যের জন্য আলোচনায় আসেন সোনম। কিন্তু এই আলোচনার পেছনে লুকিয়ে ছিল এক করুণ বাস্তব।
এক সাক্ষাৎকারে সোনম জানিয়েছিলেন, ‘মিট্টি অউর সোনা’ সিনেমার একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ের সময় তিনি ছিলেন মানসিকভাবে অপ্রস্তুত। কারণ তিনি তখন ছিলেন মাত্র এক কিশোরী। অথচ তাকে সেটে ডেকে পাঠানো হয় তার এক আত্মীয়াকে, যিনি শিশুসুলভ লোভ দেখিয়ে রাজি করান সোনমকে।
বলিউড লাইফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, সেই নগ্ন দৃশ্যের প্রসঙ্গে সোনম বলেন, ‘আমায় বলা হয়েছিল, যদি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করি, তবে আমায় চকোলেট দেওয়া হবে। আমি তখন খুবই ছোট।
আর শুধুই চকোলেটের লোভে সেই দৃশ্যে অভিনয় করেছিলাম’। এই একটি অভিজ্ঞতাই যেন উন্মোচন করে দেয় বলিউডের আড়ালে থাকা অন্ধকার দিক—যেখানে শিশুশিল্পীরাও নিস্পৃহ থাকে না প্রাপ্তবয়স্ক সিদ্ধান্তের দায় থেকে।
১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘বিজয়’ ছিল সোনমের প্রথম কাজ, যেখানে অনিল কাপুর, ঋষি কাপুর, হেমা মালিনী, মীনাক্ষী শেশাদ্রি, অনুপম খেরের মতো তারকাদের পাশে পর্দায় এসেই নজর কাড়েন সোনম। সিনেমার একাধিক চুম্বনদৃশ্য তাকে রাতারাতি ‘বোল্ড অভিনেত্রী’ হিসেবে পরিচিতি এনে দেয়। তার পরবর্তী হিট ‘ত্রিদেব’-এর ‘ওয়ে ওয়ে’ গান আজও কয়েক প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয়।