ঈদুল আযহায় মুক্তি প্রাপ্ত শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’ একের পর এক রেকর্ড গড়েই চলেছে। এবার মুক্তির পঞ্চম দিনে দুই দশকের ইতিহাসে বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যে সর্বোচ্চ শো’য়ের রেকর্ড গড়েছে ‘তুফান’!
দেশের ১২৯ টি হলে ঈদের দিন থেকে হাউসফুল চলছে ‘তুফান’। ঈদের দিন স্টার সিনেপ্লেক্সের সব আউটলেট মিলিয়ে ২২টি শো চালানো হয়েছিল সিনেমাটির তারপরই সিনেমাটি দেখার জন্য এত দর্শকের চাপ তৈরি হয়েছে যে বৃহস্পতিবার থেকে ৫১টি শো চলছে ‘তুফান’-এর। শুধু স্টার সিনেপ্লেক্সেই নয়, দর্শকের চাপে রাত ১১টা ও ১২টার শো চালু করেছেন ময়মনসিংয়ের ছায়াবাণী প্রেক্ষাগৃহ, সিরাজগঞ্জের মিনি সিনেপ্লেক্স ‘রুটস সিনে ক্লাব’, সৈয়দপুরের তামান্না ডিজিটাল সিনেমা হলমালিকরা।
তবে দর্শক আগ্রহের শীর্ষে থাকা সিনেমাটির আয় কত এই প্রসঙ্গে অফিশিয়ালি কোনও তথ্য দেননি তুফান’ কর্তৃপক্ষ।
এই প্রসঙ্গে সিনেমাটির প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল জানিয়েছেন, ‘আসলে মুক্তি পাওয়া সিনেমার আয় কত হচ্ছে, দর্শক চাহিদা কেমন তা দ্রুত জানার সুযোগ নেই আমাদের দেশে। অন্য দেশে বক্সঅফিস থাকায় এ সম্পর্কে দ্রুত সঠিক ও নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এখানে তা সম্ভব না হওয়ায় প্রযোজকরা অনেক বেশি সমস্যায় পড়ে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সিনেমা থেকে কত আয় হয়েছে সেটা আসলে ম্যানুয়ালি আমাদের সংগ্রহ করতে হয়। কোন সিনেমা হলে কত দর্শক তার হিসাব আসলে করতে সময় প্রয়োজন। শুধু একটা হিসাবই এখন আমার হাতে আছে তাহলো সিনেপ্লেক্সে প্রথম আড়াই দিনে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ক্রস সেল হয়েছে। সিনেপ্লেক্সের ইতিহাসে গত ২০ বছরে কোনো সিনেমার ক্ষেত্রে এটা হয়নি।’
তবে অনেকেই বলছেন সপ্তাহ পেরোলেই ‘তুফান’ সিনেমার আয়ের রেকর্ড জানা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ‘তুফান’ ছবিটি প্রযোজনা করেছে আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেড; ডিজিটাল পার্টনার চরকি এবং ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে আছে এসভিএফ। নির্মাতা রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খানকে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে। এ ছাড়াও নায়কের বিপরীতে ভারতের মিমি চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের নাবিলা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, গাউসুল আলম শাওনসহ আরও অনেকে।