Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
মঙ্গলবার, জুলাই ২, ২০২৪
Your Image

এটিএম শামসুজ্জামান: হারানোর তিন বছর

এটিএম শামসুজ্জামান | ছবি: ফেসবুক

কয়েক প্রজন্মের অনুপ্রেরণার একটি নাম এটিএম শামসুজ্জামান। অভিনয় হোক বা লেখা, প্রতিবার নিজেই নিজের কাজ গুলোকে দিয়েছেন কঠিন টক্কর। ‘বাংলার বউ’ সিনেমায় দাদু হয়ে হাসিয়েছেন আবার ‘চাপা ডাঙ্গার বউ’-তে দেখা দিয়েছেন কঠিনমণা বড় ভাই হয়ে। চরিত্র যেমনই হোক যার অভিনয় ছুয়ে গেছে সবার মন সেই গুণী অভিনেতাকে হারানোর তিন বছর আজ।

ভালো নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান হলেও দর্শক তাকে চিনেছেন একটু সংক্ষিপ্ত ভাবে, এটিএম শামসুজ্জামান বলে। ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীতে জন্ম তার। পরে ঢাকায় বেড়ে ওঠা। পড়তেন পগোজ স্কুলে। সেখানে তার বন্ধুদের একজন ছিলেন বাংলাদেশের আরেক গুণী অভিনেতা, প্রবীর মিত্র।

জগন্নাথ কলেজে পড়াকালীন প্রথম অভিনেতা হিসেবে কাজ করেন ‘নয়া জিন্দেগানি’ নামে একটি সিনেমায়, যা পরে আর
মুক্তি পায়নি। প্রথমবার পর্দায় দেখা যায় ১৯৬৮ সালে। নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’ সিনেমা দিয়ে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

এটিএম শামসুজ্জামানের উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের নাম উল্লেখ না করলেই নয়- ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ ইত্যাদি।

অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন ‘আজীবন সম্মাননা’। ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবার সম্মানটিও রয়েছে এটিএম শামসুজ্জামানের ঝুলিতে।

তিনি কিন্তু নিজেই লিখেছিলেন তার আত্মজীবনী। ‘শিল্প সংস্কৃতি ও আমার শিল্পী জীবন’ শিরোনামে তুলে ধরেছিলেন শিল্পীর হিসেবে তার পাওয়া- না পাওয়ার গল্প।

কাগজ বিক্রেতার চরিত্রে প্রথমবার রুপালি পর্দায় এসে ছুঁয়ে যান সবার মন। তারপর আর থেমে থাকেননি। চার শতাধিকের বেশি খল ও কমেডি চরিত্রে অভিনয় করেছেন এটিএম। ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, বসন্তের পাতা ঝরার দিনে পরপারে পাড়ি জমান এটিএম শামসুজ্জামান। দেশের শিল্প-সংস্কৃতিতে তার অসামান্য ভূমিকা চিরকাল অমলিন।

লেখা: নূফসাত নাদ্বরুন

Share this article
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read next
0
Share