২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আলিয়া ভাটের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন বেদিকা শেঠি। এ সময়ে অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭৭ লাখ রুপি গায়েব করে দিয়েছেন কৌশলে। অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে শেঠিকে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
এ বছরের জানুয়ারিতে আলিয়ার মা সোনি রাজদান থানায় অভিযোগ জানানোর পর প্রকাশ্যে আসে বেদিকার কুকীর্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক মাস আগে পুলিশ এই মামলার তদন্ত শুরু করে। মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার প্রায় পাঁচ মাস পর অভিযুক্ত বেদিকা শেঠিকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ৮ জুন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত বেদিকাকে ১০ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পেমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়, সময়সূচি পরিকল্পনা করাসহ আলিয়া ভাটের যাবতীয় বিষয় দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন বেদিকা শেঠি। আলিয়ার সই জাল করে ২০২২ থেকে ২০২৪-এর আগস্টের মধ্যে ধাপে ধাপে দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৬ দশমিক ৯ লাখ রুপি সরিয়েছেন বেদিকা।
তবে দুই বছরেও বিষয়টি বুঝতে পারেননি আলিয়া। টের পেয়েছিলেন অভিনেত্রীর মা সোনি রাজদান। তিনি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ (ফৌজদারি বিশ্বাস লঙ্ঘন) এবং ৪২০ (প্রতারণা) ধারায় মামলা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, থানায় অভিযোগ জানানোর পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বেদিকা। প্রথমে রাজস্থান, এরপর কখনো কর্নাটক, পুনে এবং সর্বশেষ বেঙ্গালুরুতে তার অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। অবশেষে জুহু পুলিশ বেঙ্গালুরু থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সক্ষম হয়।