প্রায় দুই বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পর আজ শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা ‘অন্যদিন’। চলচ্চিত্রটি নির্মান করেছেন কামার আহমাদ সাইমন। সিনেমাটি তাঁর ওয়াটার ট্রিলজি বা জলত্রয়ীর দ্বিতীয় সিনেমা। এর আগে তিনি নির্মান করেছেন ‘শুনতে কি পাও!’।
নির্মাতার গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, প্রায় সাত বছরের চেষ্টায় ছবিটার নির্মান করেছেন তিনি। ২০০ ঘণ্টার ফুটেজ থেকে এডিট করে ছবিতে মাত্র দুই ঘণ্টা রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সাইমন।
সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে সরকার বিরোধীতার জন্য আটকে ছিল কিনা জানতে চাইলে নির্মাতা বলেন, ‘এখানে প্রতিটি শট আমি প্রয়োজনীয় মনে করেছি বলেই রেখেছি। আমার তরফ থেকে এখানে কাটার মতো কোনো শট ছিল না। তা ছাড়া সেন্সর বোর্ডও নির্দিষ্ট কোনো দৃশ্য কাটতে বলেনি, প্রায় পুরা ছবি নিয়েই সরকার বিরোধিতার ঢালাও অভিযোগ করেছিল; দুই পাতার একটা ‘প্রেমপত্র’ দিয়েছিল। সেটা মেনে নিলে প্রায় পুরো ছবিই ফেলে দিতে হতো। দর্শকেরা ছবিটা দেখলেই বুঝবেন, আমি সরকার নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলিনি। অন্যদিন… একটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার, গোটা সিস্টেমের একটা মেটাফোরিক্যাল ক্রিটিক।“
নির্মাতা সিনেমাটি জুলাই আন্দোলনকে উৎসর্গ করেছেন। নির্মাতা বলেন, ‘জুলাই একটা অনেক বড় ঘটনা, এর প্রভাব আগামী কয়েক দশকের সমাজ ও রাজনীতিতে থাকবে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ঘটনায় অনেকেই অন্যদিন…–কে প্রফেটিক হিসেবে দেখেছেন। হয়তো সে কারণেই জুলাইয়ের আগে নিষেধাজ্ঞা ছিল, আবার জুলাই এল বলেই ছাড়পত্র পেল—এসব ভাবনা থেকেই অন্যদিন… জুলাইকে উৎসর্গ করা। যদিও প্রতিকূল আবহাওয়া এবং বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা কোনোটাই ছবি মুক্তির জন্য ভালো সময় নয়। তবু ভাবলাম, জুলাইয়ের আগে যেই ছবি প্রায় গুম হয়ে গিয়েছিল, সেই ছবি জুলাইতেই মুক্তি দেওয়া উচিত। সেই চিন্তা থেকে সীমান্ত স্কয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, মাত্র সাত দিনের জন্য মুক্তি পাচ্ছে অন্যদিন…।
সিনেমার গল্পে এক জনপদের গল্প দেখা যাবে, ভেসে বেড়ানো একটা দেশের গল্প। নির্মাতা বললেন, ‘অন্যদিন… একটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার, গোটা সিস্টেমের একটা মেটাফোরিক্যাল ক্রিটিক।”