জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা ব্র্যাড পিটের মা জেন পিট আর নেই। ৫ আগস্ট ২০২৫ সালে , মারা যাওয়ার সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি প্রায়ই ছেলে ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিভিন্ন রেড কার্পেট অনুষ্ঠান এবং উচ্চপর্যায়ের আয়োজনে উপস্থিত হয়ে তাকে সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন। এখন পর্যন্ত জেনের মৃত্যুর সঠিক কারণ যানা যায়নি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ১৯৬২ সালে জেন ইটা বিয়ে করেন উইলিয়াম আলভিন পিটকে। তারা ওকলাহোমা ব্যাপটিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে পরিচিত হন। তাদের প্রথম সন্তান ব্র্যাড পিটের জন্ম হয় ১৯৬৩ সালে। পরে আরও দুই সন্তান ডগ, জুলিসহ তাঁরা ওকলাহোমা ও পরে মিজৌরির স্প্রিংফিল্ডে বসবাস করতেন।
তার নাতনি সিডনি পিট ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন পোস্টে জেন পিটের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় গ্র্যামি, জেন ইটা, আমরা এখনো তোমাকে বিদায় দিতে প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু এটা জেনে কিছুটা স্বস্তি পাই যে তুমি এখন আবার গাইতে, নাচতে আর ছবি আঁকতে পারবে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘যারা গ্র্যামিকে চিনতেন, তারা জানতেন—তার হৃদয় ছিল বিশাল। তিনি সবাইকে ভালোবাসতেন নিঃস্বার্থভাবে। তিনি আমাকে শিখিয়েছেন—কীভাবে ছবি আঁকতে হয়, কীভাবে শক্ত হতে হয়, দরদ দিয়ে নেতৃত্ব দিতে হয়, সবকিছুর মধ্য দিয়ে যিশুকে ভালোবাসতে হয়, আর ছোট ছোট ব্যাপারেও আনন্দ খুঁজে নিতে হয়। তিনি আমাদের জন্য মজার সব খেলা তৈরি করতেন, যাতে আমরা হাসি।’
সিডনি তার ‘স্পেশাল ডে’-এর স্মৃতিও শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যায়, তারা সকালে আইসক্রিম দিয়ে দিন শুরু করতেন, খেলাধুলা, হস্তশিল্প, পার্কে রাইড, ডিনারে অলিভ গার্ডেন, মিনি গলফ এবং শেষে সিনেমা দেখে ঘুমিয়ে পড়তেন।
সিডনি লেখেন, ‘গ্র্যামি আমাদের ১৪ জন নাতি-নাতনির সঙ্গেই তাল মিলিয়ে চলতেন। ভালোবাসায় তার কোনো সীমা ছিল না। যারা একবারও তার সংস্পর্শে এসেছেন, তারা তা অনুভব করেছেন। আমরা জানি না তার অনুপস্থিতিতে কীভাবে এগিয়ে যাব, কিন্তু জানি তিনি রয়ে গেছেন—প্রতিটি তুলির আচড়ে, প্রতিটি সদয় আচরণে, প্রতিটি হামিংবার্ডের ডানায়। তিনি ছিলেন ভালোবাসার বিশুদ্ধতম রূপ।’
মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে ব্র্যাড পিটের নিজে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি ।
গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ালেন পপ কিংবদন্তি ম্যাডোনা
এবার গাজায় চলমান গণহত্যা থামাতে আওয়াজ তুললেন বিশ্বসংগীতের কিংবদন্তি পপ তারকা ম্যাডোনা। সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রাম…